Logo
শিরোনাম
আচার্য বরাবর স্বারকলিপি

শরীয়তপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগ ও অধ্যক্ষের বাধা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ এপ্রিল 2০২2 | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৮০জন দেখেছেন
Image

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বেপারী বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেলকে মারধরের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেউজ্জামান ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন আর রশিদ বাধা দিয়ে মানবন্ধনটি বানচাল করে দেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কলেজের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে মারধরে জড়িত কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারকে গ্রেফতার ও জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে কলেজ গেইটে মানববন্ধনের আয়োজন করলে সেখানে ছাত্রলীগ ও কলেজ অধ্যক্ষ বাধা দিলে মানববন্ধনটি পন্ড হয়ে যায়।

এরপর শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ভয়ে কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বরাবর স্বারকলিপি জমা দেন। এসময় স্বারকলিপির অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরও দেওয়া হয়।

ইসরাত জাহান, সাবিকুন্নাহারসহ অন্যান্যদের স্বাক্ষরিত মানববন্ধনে বলা হয়, মহামান্য, আমাদের শুভেচ্ছা নিবেন। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী। আপনাকে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, গত মাসের ৩০ তারিখ আমাদের কলেজের বাংলা বিভাগের (অনার্স) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে পার্শ্ববর্তী জেলার সম্মানীয় কয়েকজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. এস এম মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের আগমন উপলক্ষে বিভাগের আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ভোজ চলাকালীন সময়ে হঠাৎ কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারের নেতৃত্বে একদল ছাত্রনামধারী দুর্বৃত্তরা বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দকে পাশের ৩০২ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে কেন তাদের ডাকা হলো না, সেই বিষয়ে কলেজ সভাপতি কৈফিয়ত চায়। এমতাবস্থায়, আকস্মিকভাবে কিছু বুঝে উঠার আগেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ব্যাপারীর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিএম সোহেল স্যারের উপর চড়াও হয় এবং স্যারকে উপুর্যপরি কিল, ঘুষি ও লাত্থি মারতে থাকে। অন্য সহকর্মীদের সহযোগীতায় বিএম সোহেল স্যার হায়েনাদের হাত থেকে মুক্তি পায়। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সোহাগ ব্যাপারী সংশ্লিষ্ট কলেজের ছাত্র না হয়েও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রকাশ থাকে যে, সোহাগ ব্যাপারী ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।

ঘটনার প্রেক্ষিতে কলেজের শিক্ষক পরিষদ জরুরি সভা করে ফৌজদারী মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন। আমরা তাকে পালং মডেল থানার মামলা নং ২২(৪) মতে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাই। এই ঘটনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এই বর্বর ঘটনায় ভীত হয়ে পড়েছে। কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে ক্যাম্পাসে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এই জঘন্যতম হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে আমাদের দাবীসমূহ মহামান্য আপনার নিকট পেশ করছি:

১। অতিদ্রুত অভিযুক্ত সোহাগ ব্যাপারীসহ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

২। শিক্ষককে হামলাকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।

৩। ভয়ের সংস্কৃতি মুক্ত কলেজ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করে ভীত হয়ে যারা ক্যাম্পাসে আসতে পারছে না, তাদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। দাপ্তরিক কাজ ব্যতিত বহিরাগতদের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

মহামান্য আশ্চর্য, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন ভয়মুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। কিন্তু কিছু হাইব্রিড ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কারণে আমাদের ক্যাম্পাসে সে পরিস্থিতি বর্তমান নাই। মহামান্য, আপনার নিকট আবেদন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর