Logo
শিরোনাম

সরকার আমাদের শেকড়ে টান দিয়েছে: ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আমাদের শেকড়ে টান দিয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ব্যর্থ করতে শিক্ষাব্যবস্থায় হাত দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের তো আলাদা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিচয় আছে। তবে সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে ভয় কেন? আজকে শিশুদের ভ্রান্ত ধারণা ও ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে। আমাদের পরিচয় ভুলিয়ে দিতে চায়। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। এটা জাতির অস্তিত্বের লড়াই।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির উদ্যোগে এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) সহযোগিতায় অপরিণামদর্শী কারিকুলাম ও মানহীন পাঠ্যপুস্তক: দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধ্বংসের নীলনকশা শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, পাঠ্যপুস্তকে অজস্র ভুলে ভরা ইতিহাস ও তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। আর সেগুলোই নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের শেখানো হচ্ছে। জাতির মূল জায়গা হলো শিক্ষা। আর সেখানেই হাত দিয়েছে সরকার।

সরকার জাতির খোলনলচে পাল্টে দিতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর প্রমাণ হলো পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল তথ্য সংযোজন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকে যে শিক্ষা পায় সেটা সারাজীবন তার মনে থেকে যায়। সেই শিক্ষাকে পুঁজি করে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। পাঠ্যপুস্তকে অজস্র ভুলে ভরা ইতিহাস ও তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলোই নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের শেখানো হচ্ছে।

সভায় ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে একটি অথর্ব ও জ্ঞানহীন জাতি তৈরি করতে চায়। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আওয়ামী লীগ তছনছ করে নিজেদের পরিবারের শিক্ষাব্যবস্থা বানিয়েছে। এখানে কেবলই শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা এবং তাদের পরিবারের লোকজনের বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কোনো কিছুই তারা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এটা যেন আওয়ামী পাঠ্যপুস্তক।


আরও খবর



ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় ফের লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কারখানার বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে দুর্বৃত্তদের। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ দুর্বৃত্ত কারখানায় প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটায়।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর প্রথম দফা লুটপাট ও আগুন লাগানো হয় এ কারখানায়। এরপর ২৫ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তারের পর দ্বিতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ তৃতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

রুপসী এলাকার বাসিন্দা জোনায়েদ আহমেদ বলেন, আগুনের ধোঁয়া দেখে দৌড়ে আসি। দেখি ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক লোহার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কয়েকজনকে ধরে বেঁধে রেখেছি।

সিকিউরিটি হাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার পূর্ব পাশের কাঁটাতার ভেঙে বেশ কিছু লোক ঢুকে লোহার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়। আমরা কয়েকজনকে ধরেছি।

 


আরও খবর



মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে হরিলুট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে যেন হরিলুট হচ্ছে।  একের পর এক সামনে আসছে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ঘিরে দুর্নীতি খবর। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কয়লা আমদানিতে তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা নেয় প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্মকর্তারা। কিছুদিন আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে  মাতারবাড়ীতে ১৭৭০ কোটি টাকার দুর্নীতি শিরোনামে  একটি খবর প্রকাশিত হয়। এর কয়দিন পরেই আবার ১৫ কোটি টাকার তার পাচারের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ।

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খানকে গত ২৯ আগস্ট একটি আন্তর্জাতিক কনসোটিয়াম মাতারবাড়ি প্রকল্পে সিজিপিসিবিএল কর্তৃপক্ষকে অনিয়ম ও দুর্নীতি উল্লেখ করে চিঠি প্রদান করা হয়।  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-সিজিপিসিবিএল মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টে ৩ বছর ব্যাপী ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কয়লা আমদানির ও সরবরাহের অভিজ্ঞতা উল্লেখ থাকলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে বেআইনি সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া ১০ মাস ধরে দেরি করা হয়। জানা যায়, পরপর চারবার সংশোধনীর মাধ্যমে "কয়লা আমদানীর এবং সরবরাহের অভিজ্ঞতার" শর্তটি পরিবর্তন/পরিবর্ধন  করে কয়লার পরিবর্তে লোহা, সার, কেমিক্যাল, সিমেন্ট, খাদ্য শস্য আমদানীর অভিজ্ঞতা" কে যোগ্যতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দরপত্রে অনিয়মের প্রেক্ষিতে একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট। সুপ্রিম কোর্টে গতকাল এই শুনানি শুরু হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ এই শুনানিতে অংশ নেয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

প্রতিনিধি জানান,  কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ১৫কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার পাচারকালে সাতজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী। গত শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে গতকাল সকালে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এরপর গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালানোর সময় ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি আবুল কালাম আজাদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক তার পাচারের প্রস্তুতি নিয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালীতে দায়িত্বরত নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রে অভিযান শুরু করে। বিকেল থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন বন্দরের ৪ নম্বর জেটিঘাট থেকে ১৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার জব্দ করে। এসব বৈদ্যুতিক তার একটি বার্জ জাহাজে করে চারটি কন্টেইনার ভর্তি করে চট্টগ্রামে পাচার করছিল। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনী সাতজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এসব বৈদ্যুতিক তার চট্টগ্রামের বেসরকারি কোম্পানি ইকবাল মেরিনে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানিয়েছেন, এই তার পাচারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও এমডি আবুল কালাম আজাদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম এবং প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলফাজ হোসেনও জড়িত।

এরই মধ্যে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় অভিযোগ ওঠার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা থেকে উৎপাদিত ড্রাই অ্যাশ (পোড়ানো ছাই) বিক্রির দরপত্রেও বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সিপিজিসিবিএল-এর বিরুদ্ধে। কয়লার ড্রাই অ্যাশ বিক্রিতে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও সর্বনিম্ন দরদাতাকে দরপত্র পাইয়ে দিতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে প্রকল্পসূত্রে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে আসায় সিপিজিসিবিএল এমডি আবদুল কালাম আজাদ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিজাইন) কামরুল ইসলাম, সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দিন ও ডিজিএম (ডেপুটেশন) মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আমাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে গত ২২ আগস্ট উঠে আসে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিপিজিসিবিএলের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেখা যায়, অবৈধভাবে ১৬টি কাজে ১০৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার ভেরিয়েশন প্রদান, প্রকল্পের টাউনশিপ এলাকায় বালু ভরাটের নামে ৬৮ কোটি টাকা,  বিটুমিন বা পিচের সড়ক না করে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করে ২৫৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব স্ক্র্যাপ বিনা নিলামে বিক্রির মাধ্যমে ৫৩ কোটি টাকা, ইনস্টিউশনাল ডেভেলপমেন্টের নামে ১২ কোটি টাকা, প্রকল্পের ঠিকাদারের লেফটওভার ম্যাটেরিয়াল বিক্রির মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা ছাড়াও বিভিন্ন মূল্যবান মালামালের কান্ট্রি অব অরিজিন পরিবর্তন করে এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রকল্পে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করা হয়।


আরও খবর



বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চলতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৭৭ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করে। নতুন দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে ভোক্তাপর্যায়ে আগস্ট মাসের জন্য ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে এ দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩ টাকা। সে সময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: এলপি গ্যাস

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ আগারওয়ালা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে সেখান থেকে আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যা মামলায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থানায় মো. শাহাদাত হোসেন খান বাদী হয়ে দিলীপ কুমারের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গত ২৩ আগস্ট রুজু করা হয়েছে। মামলায় দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার ২০ নং আসামি তিনি।

সিআইডির পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শো-রুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরো প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করতেন। এ ছাড়া দুবাই ও সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আরও খবর



আরব আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত সেই ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতের দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গণমাধ্যম সম্পাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আমিরাতি নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) তখন জানিয়েছিল, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ডব্লিউএএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ব্যক্তিরা তাদের নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি সড়কে বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন।

এদিকে গত ১৮ আগসট ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিলেন, তখন (দূতাবাসের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দুবাইয়ের কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছেন এরা সন্ত্রাসী, (প্রবাসী আন্দোলনকারীরা) এরা স্বাধীনতাবিরোধী, এদেরকে অ্যারেস্ট করলে ওনাদের আপত্তি নেই। যার কারণে কোনো প্রকার আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে এদেরকে (আন্দোলকারীদের) চুপ করাতে হবে, শাস্তি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য উপদেষ্টাসহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি। ওনারা যেন রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবস্থা নেন। আমরা দেশ থেকে লিগ্যাল সাপোর্ট দেব।

সেদিন ফাওজিয়া করিম ফিরোজ আরও বলেন, দুবাইয়ের যিনি কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। তিনি কিন্তু সবচেয়ে দায়ী ব্যক্তি যিনি এই ৫৭ জনের দণ্ডের জন্য দায়ী। কোনো ধরনের লিগ্যাল সাপোর্ট দেননি তিনি। তিনি ওদেরকে (আন্দোলনকারীদেরকে) স্বাধীনতাবিরোধী বলেছেন। এটা খুব ফেভারিট ডায়ালগ ছিল। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির, যদি দ্বিমত পোষণ করতো তখন আপনি হয়ে যেতেন আরেক দলের ব্যক্তি। আপনি স্বাধীনতাবিরোধী। যখন মানবাধিকার কমিশনে ছিলাম তখন এ কথা আমি নিজেও শুনেছি।

তিনি বলেন, শুধু ৫৭ জনই নয়। আরও বেশি লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে জানেন না ট্রেস লেস হয়ে গেছে। শুধু আমিরাতে নয়, অন্যান্য দেশেও হয়েছে। আমাদের কাছে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসেছেন। যারা ৫৭ জনের মধ্যে পড়ছেন না। আমরা সব ধরনের সহায়তা দেব। আমরা দুবাইতে স্বেচ্ছায় একটি চেষ্টা করছি। সরকারকে তার ব্যবস্থা অবিলম্বে নিতে হবে।

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে নিন্দা জানানো হয়।


আরও খবর