আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের প্রতিটি খাতে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা।
অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বিএনপির রাজনীতিতে
নেই, নেই কোনো রাজনৈতিক ইতিবাচক কর্মসূচি। এ অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির অপরাজনীতির
পরিবর্তন চায়।
আজ রবিবার সকালে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্লাজায় নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, ‘সরকার চায় শক্তিশালী
ও দায়িত্বশীল বিরোধী দল। কিন্তু, বিএনপি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলতে
চায়। তাদের আন্দোলন কথাসর্বস্ব ও ভার্চুয়াল। বিএনপির এসব কর্মসূচির সঙ্গে জনগণ ও রাজপথের
কোনো সংযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের
আরও বলেন, ‘ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না পারাই বিএনপির বড় ব্যর্থতা।
ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আছে বলেই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার পাল্লা এখন অনেক
ভারী। ক্ষমতার রাজনীতিতে বিএনপিকে মানুষ আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পারছে না।’
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিনেতারা সর্বত্র নৈরাজ্য দেখতে পান।
তাঁরা দেশের ভালো কিছু দেখতে পান না। বিএনপি সকালের স্নিগ্ধ আলোয় দেখে সন্ধ্যার অন্ধকার।
তারা এতটাই একচোখা যে, গত একযুগের বেশি সময় সরকারের একটা ভালো কাজও দেখতে পায়নি। বিএনপি
জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়েছে।’
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপিনেতারা বলেছেন, চতুর্দিকে নাকি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা,
মানুষ পরিবর্তন চায়। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির অবস্থাই এখন শ্বাসরুদ্ধকর। একদিকে,
নির্বাচন ও আন্দোলনের ব্যর্থতা; অপরদিকে, কর্মী সমর্থকদের হতাশা। সবমিলিয়েই বিএনপির
রাজনীতিতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। হঠকারী রাজনীতি এবং ধর্মান্ধ ও ক্ষমতালোভী
নেতৃত্ব বিএনপিকে আজ কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ বিএনপির উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর লালন পালন থেকে পরিবর্তন চায়। চায় বিএনপি জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হোক। জনগণ চায়—বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বীকৃত ও সাংবিধানিক পথে আসুক।