Logo
শিরোনাম

সরকারি এলপিজির দাম বাড়াতে চায় বিপিসি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বর্তমানে যেখানে ১ হাজার ২৪২ টাকা, সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেডের (এলপিজিএল) সাড়ে ১২ কেজির এলপিজির মূল্য গ্রাহক পর্যায়ে ৫৯১ টাকা। তবে এর সুফল পায় না গ্রাহক। সিন্ডিকেট, ক্রস ফিলিং করে বেসরকারি কোম্পানির সিলিন্ডারে নিয়ে বিক্রিসহ রয়েছে নানান অভিযোগ। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বলছে, সরকারি পর্যায়ের এ এলপিজির দাম বাড়ালে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় কমবে।

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপেক্ষাকৃত অর্ধেকের চেয়েও কমে এলপিজি বিক্রি করে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ক্ষতি পোষাতে নিজেদের সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) প্রস্তাব দিয়েছে এলপিজিএল। গত মে মাসে দেওয়া ওই চিঠিতে চারটি বিকল্প প্রস্তাবও দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এলপিজিএল কর্তৃপক্ষ বলে আসছে, আগে সরকারি এলপি গ্যাসের মূল্য বিপিসি নির্ধারণ করলেও ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সরকারি এলপিজির মূল্যও নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। বিইআরসি বেসরকারি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের এলপিজির দাম সৌদি কার্গো প্রাইসের (সিপি) ওপর নির্ধারণ করে। অন্যদিকে এলপিজিএলের বোতলজাত গ্যাস আমদানি করতে হয় না বলে স্থানীয় মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এলপিজিএলের সাড়ে ১২ কেজি গ্যাসের মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করে। বর্তমানে ওই দর বলবৎ থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে সেই সুফল পৌঁছায় না। অন্যদিকে এ মূল্য নির্ধারণ করার সময় বিপণন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েলের সমান পরিবহন ব্যয় (ফ্রেইটপুল চার্জ) এবং কমিশন নিয়ে এলপিজিএলের সঙ্গে টানাপোড়েনও তৈরি হয়।

জানা যায়, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপি ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি। ৩৫:৬৫ হিসাবে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ হিসেবে গড় মূল্য নির্ধারণ করা হয়। চলতি মাসে (জুন) সৌদি আরামকোর প্রতি টন প্রোপেন ও বিউটেন ছিল ৭৫০ ডলার করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ দর ওঠে এলপিজির। ওই মাসে প্রতি টন প্রোপেন ৯৪০ ডলার এবং বিউটেন ৯৬০ ডলার হিসেবে বিক্রি হয় এলপিজি। এদিকে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এলপিজির মূল্য প্রতি মাসের শুরুতে নির্ধারণ করে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এ দর নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। সবশেষ গত ২ জুন বেসরকারি ১২ কেজির এলজিপির মূল্য ১ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দরের কারণে এখানেও ১২ কেজি এলপিজির মূল্য সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও সমন্বয় করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেডে উৎপাদিত গ্যাসের মূল্য আগে নির্ধারণ করতো অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বিপিসি। গত বছর সরকারি নির্দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করছে বিইআরসি। সবশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বিপিসি প্রতি সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে ৬শ টাকা। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ভোক্তা পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার ৫৯১ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫৯১ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খোদ এলপিজিএল কার্যালয়ের গেটেই ৮০০-৮৫০ টাকায় বিক্রির তথ্য চাউর হয়। এ কারণে গত বছরের মাঝামাঝি প্ল্যান্ট গেটে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি বিক্রি বন্ধ করে দেয় এলপিজিএল।

এলপিজিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হানিফ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে ৫৯১ টাকা মূল্য নির্ধারণের সময় ব্যয় বিভাজনে এলপি গ্যাস লিমিটেডের প্রদত্ত ছক অনুসরণ না হওয়ায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত এবং সিলিন্ডারের অবচয় বাবদ ব্যয় বাদ পড়ায় এলপি গ্যাস লিমিটেড আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিপিসির অধীন এলপিজি বহনকারী কোম্পানির মার্জিন ও সমান পরিবহন ভাড়া (ফ্রেইটপুল) হ্রাস করায় বিপণন কোম্পানিগুলোও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েল ও এলপিজির মূল্য বৃদ্ধি, এলপিজিএলের উৎপাদন ও প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধি, বিপণনকারী কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েলের প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং কোম্পানিগুলোর বিক্রয় কমিশন ও সমান পরিবহন ভাড়া (ফ্রেইটপুল) বৃদ্ধি বিবেচনায় সরকারি পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য বৃদ্ধি করা জরুরি প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিপিসি আমদানিকৃত ক্রুড অয়েলের মূল্যসহ সব ব্যয় বিবেচনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত এলপি গ্যাসের মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি পর্যায়ে এলপি গ্যাসের বিদ্যমান ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ৫৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা প্রস্তাব করা হলো। এছাড়া বিপণন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সৃষ্ট জটিলতা উত্তরণে এলপিজিএল ও বিপণন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মূল্য কাঠামো নির্ধারণেরও প্রস্তাব করা হয়। আবার মূল্য বাড়িয়ে মূল্য কাঠামোতে ব্যয় বিভাজন নির্ধারণের জন্য বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়ারও প্রস্তাব করা হয় চিঠিতে।

এ ব্যাপারে এলপিজিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। জ্বালানি বিক্রিতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রুড অয়েল পরিশোধন থেকে উপজাত হিসেবে পাওয়া এলপিজি কম দামে বিক্রির কারণে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপচয় হচ্ছে রাষ্ট্রের অর্থ। আবার এলপিজির মূল্য নির্ধারণের পর ব্যয় বিভাজন নিয়েও বিপণন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জটিলতার তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ফ্রেইটপুল চার্জ ও কমিশন নিয়ে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলের সঙ্গে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিইআরসির নির্দেশনা ছাড়া এসব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। যে কারণে এলপিজির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজির এলপিজি ১২শ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে আমাদেরগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ৫৯১ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ানো হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় কমবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিসির এক কর্মকর্তা বলেন, দেশের কোথাও এলপিজিএলের এলপিজির সিলিন্ডার ৫৯১ টাকায় বিক্রি হয় না। গত মে মাসে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে একটি গোডাউনে এলপিজিএলের সিলিন্ডার থেকে ক্রস ফিলিং করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডারে ভর্তি করার সময় স্থানীয় প্রশাসন ধরে ফেলেছে। এসব অনিয়মে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ডিলার সিন্ডিকেট জড়িত। এতে ৫৯১ টাকার সুফল সিন্ডিকেট খেয়ে ফেলছে, ভোক্তারা পাচ্ছেন না। দাম বাড়ানো হলে এসব অনিয়ম দূর হবে।

নিউজ ট্যাগ: এলপিজি

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর