Logo
শিরোনাম

সরকারি জমি আ.লীগ নেতার দখলে: নাজিরপুরে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৪১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় সরকারি খাস জমি দখল করে সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন মোশারেফ হোসেন খান নামে এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার দখল করা সরকারি ওই খাস জমিতে তিনি প্রায় শতাধিক পাকা, আধাপাকা দোকান ঘরসহ বাসাবাড়ি করে বছরের পর বছর ভাড়া দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নাজিরপুর কলেজ পর্যন্ত পাকা সড়ক, ওয়াক ওয়ে, ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এই সড়কটির শুরুর স্থান নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ শ মিটার লম্বা এবং ১শ মিটার চওড়া সরকারি খাস জমিতে ওই আ.লীগ নেতার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকায় চলমান এ উন্নয়ন প্রকল্পটি থমকে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি এ সম্পত্তির উপর পাকা ও আধাপাকা প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকান গুলো ওই আ.লীগ নেতার কাছে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আ.লীগ নেতার নিকট দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন বলে স্বীকার করেন। অনেকে এটা চেয়ারম্যান মার্কেট হিসেবে পরিচিত বলেও জানান।

স্থানীরা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই আ.লীগ নেতাকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত তিনি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেননি। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। একাধিক ব্যক্তি নানা মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করছে। অনেকে লিখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের কাজে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকারান্তরে সরকারের বিরোধিতার শামিল। নাজিরপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাঙ্খিত এই প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য নাজিরপুর উপজেলা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পারভেজ খান নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, নাজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নাজিরপুর কলেজ পর্যন্ত পাকা সড়ক, ওয়াক ওয়ে, ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান। নাজিরপুরের সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরন হবে এই কাজ সমাপ্ত হলে। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই সড়কটির শুরুর স্থান, অর্থাৎ নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ শত মিটার লম্বা এবং ১ শত মিটার চওড়া সরকারি খাস জমি দখল করে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি পাকা ভবন ও আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছেন। ওই জনপ্রতিনিধির অবৈধ স্থাপনা থাকার কারণে সড়কটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই জনপ্রতিনিধিকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত সেসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অনেকে লিখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের কাজে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকারান্তরে সরকারের বিরোধিতার শামিল। নাজিরপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাক্সিক্ষত এই প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য নাজিরপুর উপজেলা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরেকজন লিখেছেন উপজেলায় প্রবেশদ্বারের মুখে অবৈধ স্থাপনার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ি ঢুকতে পারে না।

সরকারি ওই খাস সম্পত্তি পুরোটাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান দখল করে দোকানসহ বাসাবাড়ি করে বছরের পর বছর ভাড়া দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী বলেন, সরকারি খাস জমি যার দখলেই থাকুক, উন্নয়নের স্বার্থে সে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া বলেন, নাজিরপুর উপজেলা সদরের দৃশ্যমান সুন্দর্যবর্ধক প্রকল্প হিসেবে নাজিরপুর উপজেলা হেডকোয়াটার থেকে হুমায়ুন হাজরার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে সড়কটি শুরু স্থান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নদীর তীর পর্যন্ত প্রায় তিনশমিটার লম্বা ও ১শ মিটার চওড়া সরকারি খাস জমিটি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দখল করে অবৈধ স্থাপনা করে রেখেছে। সেগুলো অপসারণ না করায় ডিজাইন অনুযায়ি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের অন্য অংশের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, যারা ওই জায়গা দখল করে আছে। তাদের ইতোমধ্যে নোটিশ করা হয়েছে এবং উচ্ছেদ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন দখলকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেই প্রভাবে তিনি নোটিশ পেয়ে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি যেই অবৈধভাবে দখল করে রাখুক, আমরা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তা উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো এবং তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই জায়গাটি সরকারি খাস জমি। কে দখল করে মার্কেট করেছেন বা ভাড়া দিয়েছেন সেটা বড় বিষয় নয়। যারা বর্তমানে দখলে রয়েছেন তারাই অবৈধ দখলদার। ইতোমধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা জন্য উচ্ছেদ মামলা করে অনুমোদনের জন্য ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর উচ্ছেদের জন্য ডিসি অফিস থেকেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।

নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান বলেন, ওই সম্পত্তিটা আমার ক্রয় করা সম্পত্তি ছিলো। একপর্যায়ে সরকার অধিগ্রহণ করে নিলে আমি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু আমি মামলায় হেরে যাই। পরে বাধ্য হয়ে সরকারের কাছে একসনা লিজ নিয়ে ভোগ দখলে আছি। তবে সরকার নতুন লিজ না দেয়ায় নাবায়ন করা সম্ভব হয়নি। উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষ আমাকে যতটুকু ছেড়ে দিতে বলবে আমি ছেড়ে দিবো।


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর