Logo
শিরোনাম

সর্বোচ্চ এফডিআই আকর্ষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গত বছর সর্বোচ্চ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই আকর্ষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালের চেয়ে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএমএফ জানায়, ২০২১ সালে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এফডিআই আকর্ষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে যা ৫০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বেড়েছে। এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধির হারেও বিশ্বের ১১২টি অর্থনীতির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার এফডিআই পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের এফডিআই এসেছে ৩ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। ইউরোপের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ লুক্সেমবার্গের এফডিআই এসেছে ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত যুক্তরাজ্য ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার এফডিআই আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এশিয়ার বাণিজ্য নগরী হংকং ও সিঙ্গাপুর গত বছর এফডিআই আকর্ষণ করেছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৯ এবং ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইউরোপের বিকল্প বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে ওঠা আয়ারল্যান্ড ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার এফডিআই পেয়েছে। মাথাপিছু জিডিপিতে বিশ্বে শীর্ষে থাকা সুইজারল্যান্ড ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানিতে এফডিআই আগমন হয়েছে ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিআই প্রবাহের উপাত্তে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে করোনার অভিঘাত কাটিয়ে আন্তঃসীমান্তীয় আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সত্ত্বেও ভারতে এফডিআই বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে এফডিআই প্রবাহ ৮ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ দেশটির ইতিহাসে যেকোনো অর্থবছরের চেয়ে বেশি। গত সাত বছরে ভারতে এফডিআই প্রবাহ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভারতে এফডিআই ছিল মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এটি বেড়ে ৮ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে এফডিআইয়ের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গত অর্থবছরের এফডিআই আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৬০ কোটি ডলার বেশি।

বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরের চেয়ে দেশটির এফডিআই প্রবাহ ২০ গুণ বেড়েছে। সে সময় এটি ছিল মাত্র ৪৩০ কোটি ডলার। দ্রুতবর্ধনশীল উৎপাদন খাত বিদেশী বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলেছে ভারতকে। উৎপাদন খাতে এফডিআই ইকুইটি প্রবাহ আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৩৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ভারতে এফডিআই ইকুইটি প্রবাহে শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। মোট এফডিআই ইকুইটি প্রবাহে দেশটির অবদান ২৭ শতাংশ। এরপর ১৮ শতাংশ অবদান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় এবং ১৬ শতাংশ অবদান নিয়ে মরিশাস তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে গত মাসে প্রকাশিত দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রকল্পে বিশ্বের শীর্ষ গন্তব্য দুবাই। বাণিজ্য কেন্দ্রটির অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগের (ডিইটি) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বছরের প্রথম ছয় মাসে শহরটি ৪৯২টি এফডিআই প্রকল্প আকর্ষণ করতে পেরেছে। এর মাধ্যমে দুবাইয়ের এফডিআই প্রকল্প গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮০ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুনে দুবাইয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে এফডিআই ১ হাজার ৩৭২ কোটি দিরহামে (৩৭৪ কোটি ডলার) পৌঁছেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।

দুবাইয়ের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বলেন, বিকল্প বিনিয়োগ এবং উচ্চপ্রযুক্তির প্রকল্পে এফডিআই সংক্রান্ত কর্মসংস্থানে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বা মেনা অঞ্চলে শীর্ষস্থান দুবাইয়ের। বছরের প্রথমার্ধে দুবাইভিত্তিক এফডিআই মূলধনের শীর্ষ উৎস দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য (৩৬ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (২০ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ শতাংশ), সিঙ্গাপুর (৫ শতাংশ) ও সুইজারল্যান্ড (৪ শতাংশ)। এফডিআই প্রকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ পাঁচটি উৎস বাজার ছিল যুক্তরাষ্ট্র (১৮ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (১৫ শতাংশ), ভারত (১৩ শতাংশ) এবং সিঙ্গাপুর ও ফ্রান্স (প্রতিটি ৪ শতাংশ)।

নিউজ ট্যাগ: যুক্তরাষ্ট্র

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর