Logo
শিরোনাম

সর্বস্বান্ত লাখ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অ্যাপভিত্তিক অনলাইন ট্রেডিং গ্রুপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জর (এমটিএফই) প্রতারণায় দেশের লাখ লাখ মানুষ পথে বসেছে। ইতোমধ্যে চক্রটি বাংলাদেশিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। কেউ জমানো টাকা, কেউবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ জমি বন্ধক রেখে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এই অনলাইন মাধ্যমে। প্রতারিতদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ এবং বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষও। বর্তমানে এরা সবাই নিঃস্ব। শুধু বাংলাদেশে নয়, পশ্চিমবঙ্গে প্রতারিত হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাংলাদেশে এ ধরনের অ্যাপ চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অনুমোদন ছিল না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, এ ধরনের কোনো কোম্পানি বা অ্যাপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিবন্ধন নেই। ফলে তারা যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোনো তথ্য দেয় না। তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য আনে না।

ফলে আলোচ্য প্রতারণার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, এটি হচ্ছে এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতায় নেই। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার, সভা-সেমিনার করে বলা হচ্ছে, এ ধরনের অনিবন্ধিত কোম্পানি বা অ্যাপে বা ডিজিটাল ফর্মের কোনো মুদ্রায় বা অন্য কোনোভাবে বিনিয়োগ না করতে। এ ধরনের বিনিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।

তারপরও কেউ কেউ এ ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে বিনিয়োগ করছেন। একটি পর্যায়ে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, যে কোনোভাবেই হোক সৎ বা বৈধভাবে মুনাফা করা এত সহজ নয়। অ্যাপটি যেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিল, ঘরে বসেই আকর্ষণীয় মুনাফা করার সুযোগ। এ থেকেই সন্দেহ করা উচিত ছিল।

জানা গেছে, অনলাইন ট্রেডিং গ্রুপ এমটিএফই। গুগল প্লে-স্টোর থেকে এমটিএফই অ্যাপ নামিয়ে ব্যবহার করতে হয়। যেখানে অ্যাকাউন্ট চালু করার জন্য সর্বনিম্ন ২৬ ডলারের সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অ্যাকাউন্ট খুলতে এখানে যাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে-এ রকম কারও একজনের রেফারেন্স লাগে।

এখানে বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার পাওয়া যেত। আর এমন প্রলোভনে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। এরমধ্যে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ বেশি। জেলাগুলোতে এমটিএফই অ্যাপের কয়েকজন করে সিও পদধারীও কাজ করতেন।

অন্যকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার মাধ্যমে তারাও পেতেন মোটা অঙ্কের কমিশন। নওগাঁ শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল ওই অ্যাপটি। যেখানে শুধু শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিতরাই নন, বিনিয়োগ করেছিলেন ব্যাংকার, শিক্ষক এমনকি গণমাধ্যমকর্মীও। কিন্তু উধাও হয়ে যায় গ্রুপটি।

অ্যাপটি তৈরি ও পরিচালনার সঙ্গে বাংলাদেশের কয়েক ব্যক্তি জড়িত। এর মাধ্যমে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের বেচাকেনা, পণ্য কিনে মজুত করা, সেগুলো আবার পরে বিক্রি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ, বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা বা অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করা হয় বলে এটি থেকে প্রচারণা চালানো হয়।

এতে বিনিয়োগ করলে ঘরে বসেই আকর্ষণীয় মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের প্রচারণায় বাংলাদেশের শহরের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এতে বিনিয়োগে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রায় ৭-৮ বছর থেকে এ ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। এতদিন এখানে বিনিয়োগ করে অনেকে কিছু মুনাফা পেলেও প্রতারণার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসেনি।

গত দুই সপ্তাহ আগে এটি ফাঁস হয়েছে। অ্যাপ পরিচালনার প্রযুক্তি হালনাগাদ করার নামে প্রতারণা শুরু হয়। ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি থেকে কোনো টাকা তুলতে পারছিলেন না। ফলে ব্যবহাকারীদের হিসাবের স্থিতি নেতিবাচক হয়ে যায়। তখনই এদের প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়।

অ্যাপে প্রথমে যে কোনো মোবাইল ব্যাংক বা বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাপ বা অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। পরে এতে মুনাফা যোগ হলে বা বিনিয়োগের অর্থ একই প্রক্রিয়ায় স্থানান্তর করতে বা তুলতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় প্রচলিত ব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন। ব্যাংকের মাধ্যম ছাড়া এতে টাকা বিনিয়োগ করা গেলেও টাকা তোলা সম্ভব নয়।

তবে কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে হুন্ডি প্রক্রিয়ায় টাকা বিনিয়োগ ও টাকা তোলা সম্ভব। গত দুই সপ্তাহ থেকে আ্যপটি থেকে বিনিয়োগকারীরা আর কোনো টাকাই উঠাতে পারছিলেন না। এতে যারা দ্রুত আয় করার স্বপ্ন নিয়ে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তারা এখন সর্বস্বান্ত। উলটো ঋণের বোঝা ধরিয়ে দিয়েছে এমটিএফই। তবে প্রথম দিকে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা কিছুটা বিনিয়োগকৃত অর্থ ও মুনাফা তুলে নিতে পেরেছেন। শেষের দিকে যারা ছিলেন, তারাই সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

মূলত কানাডাভিত্তিক অ্যাপস এটি। এমটিএফইতে শুধু বাংলাদেশ থেকেই ৪২ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ ৫ হাজার ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এভাবে কোম্পানিটি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে কোম্পানিটির ৪ শতাধিক অফিস রয়েছে। এমটিএফইর অ্যাপে এসব অফিসের ছবিসহ ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দেওয়া আছে। মূলত দুবাই থেকে মাসুদ আল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি এমটিএফইর এশিয়া অঞ্চলের দেখভাল করেন। তিনিই এমটিএফইর কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে ছড়িয়ে দিতেন।

তার থেকে পাওয়া তথ্য অন্যান্য গ্রুপের সিইওরা তাদের সদস্যদের জানাতেন। ওই সদস্যরা আবার তাদের আওতায় থাকা লোকজনকে জানাতেন। এমটিএফই মূলত এমএলএম কোম্পানির মতো তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে। প্রথম হাত, দ্বিতীয় হাত, তৃতীয় হাত পর্যন্ত আয়ের টাকা ভাগাভাগি হতো।

বাংলাদেশে এমটিএফই কোম্পানিটির প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক সিইও আছেন। নিজের প্রমো কোড ব্যবহার করে মানুষকে যুক্ত করতে পারলেই এমটিএফই তাকে সিইও হিসাবে প্রমোশন দেয়। পরে এমটিএফই কোম্পানি প্রত্যেক সিইওকে প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা বেতন ও ১ লাখ টাকা অফিস ভাড়া দিত।

সিইওদের প্রধান কাজ ছিল বিপুল অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কোম্পানিতে হাজার হাজার মানুষকে যুক্ত করা। এই সিইওদের মাধ্যমে টিম গঠন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ শতাধিক সেমিনার আয়োজন করা হয়। মূলত অ্যাপে সদস্য বাড়াতেই এই সেমিনার করা হয়। যারা আগে থেকেই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের মাধ্যমে শত শত মানুষকে এই সেমিনারে আনা হতো। সেমিনার শেষে খাবারেরও ব্যবস্থা করা হতো।

এ ধরনের প্রতারণা রোধে সম্প্রতি একটি বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বৈঠকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের সিআইডি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রান্সন্যাশনাল অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম বিভাগ এবং গোয়েন্দা ও প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অবৈধ হুন্ডি, অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সব সংস্থার একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয় ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে বিএফআইইউ তথ্য ও ইন্টেলিজেন্স দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। এছাড়া সভায় একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। বিএফআইইউর সূত্র জানায়, এটি এক ধরনের মানি লন্ডারিং অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে এ মাসের শুরুর দিকে একটি বৈঠক করা হয়েছে।

এতে বিটিআরসি ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় এ ধরনের বিভিন্ন অ্যাপ বা ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। এগুলো বন্ধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আলোকে ইতোমধ্যেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাঠে নেমেছেন। তারা কোথায় কিভাবে বেআইনিভাবে এসব অ্যাপ বা ডিজিটাল মুদ্রায় টাকা পাচার করেছে সেগুলোর অনুসন্ধান করছেন।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে তামিম-সৌম্য-রিয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। সাকিবের সঙ্গে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলামকে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেরার তালিকায় আছেন সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান।

এছাড়া প্রথমবারের মতো স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ৩ অনাভিষিক্ত ক্রিকেটার। তারা হলেন- জাকির হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা ব্যাটার নাইম শেখ, আফিফ হোসেন এবং শামীম হোসেন জায়গা হারিয়েছেন।

ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকায় আসছে নিউজিল্যান্ড দলের একাংশ। ইংল্যান্ড সফরে থাকা দলটির বাকি সদস্যরা আসবেন রোববার বিকেল ৫টায়। আগামী ২১, ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে ম্যাচগুলো। বিশ্বকাপের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে আবার আসবে কিউইরা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।


আরও খবর



মুখে কালো কাপড় বেঁধে নয়াপল্টনে বিএনপির মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাজধানীর নয়াপল্টেন মানববন্ধন করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করছে।

যদিও গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সেই কর্মসূচির পরিবর্তন এনে মানববন্ধন করছে দলটি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের।

ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সূচনা বক্তব্য দেন। অন্যদের মধ্যে সেচছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, আনম সাইফুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।


আরও খবর



ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এদেশে জন্ম নেওয়া কেউই সংখ্যালঘু নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।

সরকারপ্রধান বলেন,  যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, এখানে ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে সরকার বিশ্বাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের মাটি আজ ধন্য হয়েছে। যারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, তারা সবাই এই মাটিরই সন্তান ও নাগরিক। এই মাটির ওপরই আপনাদের অধিকার। কেন সংখ্যালঘু বলেন নিজেদের?

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে, মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবাই প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন গোপালগঞ্জ আদালত।

বুধবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এর বিচারক শেখ মো. রুবেল এ পরোয়ানা জারি করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. দেলোয়ার হোসেন সরদার।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন। এছাড়া মামলার বাদী দোলেয়ার হোসেন সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন।

পরে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ও ২৪ ডিসেম্বর পত্রিকায় ছাপা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হওয়ায় দোলেয়ার হোসেন সরদার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন।

 মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। 

বুধবার এ মামলায় আদালতে হাজির হবার কথা ছিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।


আরও খবর