দুনিয়া এখন গুগলের
পেজে। নেটদুনিয়াই বাস্তব। নবীন প্রজন্মকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তারা চট করে নেট ঘেঁটে
বলে দেবে। কিন্তু মাথায় কিছুই নেই। যেন মাথা খাটাতে ভুলেই গিয়েছে তারা। যা নিয়ে দুশ্চিন্তা
প্রকাশ করলেন অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। জানালেন, চারপাশে শুধু সস্তার বিনোদন।
ভাল কিছু দেখতেই পাচ্ছেন না ইদানীং যা আগামী প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’-এর অভিনেতা বরাবর নিজের দক্ষতা প্রমাণ
করে গিয়েছেন অন্য ধারার ছবিতে। চিত্রনাট্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ প্রবণতা লক্ষ
করা যায়। ভাল ছবি ছাড়া তিনি রাজি হন না। দমদার কনটেন্ট, ক্রাইম, থ্রিলার এবং অ্যাকশন
তাঁর অভিনীত বেশির ভাগ ছবির বিষয়বস্তু। উদাহরণ হিসাবে মনে পড়তে পারে ‘তলাশ’, ‘কহানি’, ‘বদলাপুর’ এবং ‘সেক্রেড গেম্স’-এর মতো নওয়াজের সাম্প্রতিক কাজগুলি। অভিনেতার
মতে, ক্রাইম থ্রিলার কখনওই তাৎপর্য হারায় না।
ষোড়শ শতক থেকে বিশ্ব জুড়ে অপরাধমূলক গল্পের রমরমা। পাঠক থেকে শুরু করে দর্শকের টানটান উত্তেজনার কারণ হয়ে উঠেছে আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাস থেকে শুরু করে আলফ্রেড হিচককের সিনেমা। নওয়াজের মতে, এ ধরনের গল্প মস্তিষ্কের সচলতা বাড়ায়। কৌতূহল উদ্রেক করে মানুষের মনে। সে কারণেই এ ধরনের গল্প কখনও পুরনো হয় না। এর পরই অভিনেতা নেটমাধ্যম ছেয়ে যাওয়া ছবি এবং সিরিজের প্রসঙ্গ তুললেন। তাঁর কথায়, বলতে খারাপ লাগছে, কিন্তু সস্তার বিনোদনের পিছনেই ছুটছি আমরা। বাচ্চাদের একটা কিছু জিজ্ঞেস করুন, গুগল করে বলবে। কোনও দেশের রাজধানীর নামটুকুও মনে রাখতে পারে না। এই দিন দেখতে হচ্ছে মস্তিষ্ক পুষ্টি পাচ্ছে না বলেই। ব্রেনের এক্সারসাইজ করার ক্ষমতা নষ্ট করছে নেটদুনিয়া। ‘হিরোপন্তি ২’-এ শেষ দেখা গিয়েছিল নওয়াজকে। ঝুলিতে আছে ‘হাড্ডি’ এবং হালকা চালের ছবি ‘নুরানি চেহেরা’।