চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মেয়রের মৃত্যুতে দর্শনা পৌর পরিষদসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
দর্শনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. রবিউল হক সুমন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভারতে চিকিৎসাধীন তিনি মারা গেছেন। মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
প্যানেল মেয়র আরও বলেন, মতিয়ার রহমান লিভার সিরোসিসের রোগী ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করেও মেলাতে পারেননি। পরে তার স্ত্রী রোজী রহমানের সঙ্গে শতভাগ মিলে যায়।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে টানা ১২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে লিভার প্রতিস্থাপন সফল হয়। নিজের জীবন বিপন্ন করে স্বামীকে লিভার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেলো না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি মারা যান। মরদেহ দেশের নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মতিয়ার রহমান ১৯৯৯ সালে সর্বপ্রথম দর্শনা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে ২০০৫, ২০১১ ও সবশেষ ২০২১ সালে একই পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। দর্শনা থানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। এছাড়া দর্শনাকে উপজেলা করার আন্দোলনও তিনি শুরু করেছিলেন। এরমধ্যেই অসুস্থ হয়ে ভারতে চিকিৎসা নিতে যান।