Logo
শিরোনাম

সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা তারুণ্য নির্ভর সংগঠন 'পাঠশালা'

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৩২২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জবি থেকে মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ:

তারুণ্য নির্ভর আমাদের এ সমাজে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ইন্টারনেটের প্রসারের কারণে তরুণরা খুব সহজেই তাদের চিন্তা-ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদেরকে তরুণদের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তেমনই একজন ইয়ুথ লিডার এবাদুল ইসলাম। কাজ করে যাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের শিক্ষা নিয়ে। 'জ্ঞান অর্জন ও বিস্তার' এ শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা করেছেন তারুণ্য নির্ভর সেচ্ছাসেবী সংগঠন 'পাঠশালা'।

সময়টা ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস। কয়েকজন কোমল মতি শিশুদের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর ব্যাপারটা স্বেচ্ছাসেবক কয়েকজন তরুণের ভালোলাগেনি। যখন এই কোমল মতি শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা ঠিক সেই সময় তারা স্কুলে না গিয়ে কাজ করছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা দেখে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন এভাবে বসে থাকা যাবে না। এই শিশুদের জন্য কিছু একটা করা উচিত। পরে দৃঢ়চেতা এই তরুণরা সিদ্ধান্ত নিলো সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করবে একটি সংগঠন। সেই থেকে শুরু হয় 'পাঠশালা'। পথশিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করায় সংগঠনটির নামকরণ করা হলো 'পাঠশালা'। সেই থেকে শুরু আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি, সেই তরুণদের হাত ধরেই গড়ে উঠা সংগঠন আজ সারা বাংলাদেশের কয়েক হাজার তরুণের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

পাঠশালা সৃষ্টির লগ্ন থেকেই সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরণে অবিচল ছুটে চলেছে সারা দেশের একঝাঁক তরুণ। এ পর্যন্ত সারা দেশে বেশ কিছু কার্যক্রম চালিয়েছে পাঠশালা। পাঠশালা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পথশিশুদের পড়ালেখাসহ এ পর্যন্ত নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে খাবার বিতরণ, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানামুখী কর্মসূচি করেছেন তারা। পথশিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করতে বিশেষ প্রোগ্রাম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা, রাজশাহীর কাজলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা, ফরিদপুর ইন্জিনিয়ারিং কলেজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা,  ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং তাদের খাবার সহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, রাজশাহীর রেলওয়ে কলোনি মাঠে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং খাবার ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় এসএসসির কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার দেয়া। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে রাজশাহী এবং বগুড়ায় করোনার করাল গ্রাসে দিশেহারা অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দেশের ২০ টির বেশি জেলায় একযোগে সার্ভে করা হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে যাতে তারা শিক্ষার দিকে আরও ধাবিত হয়, বর্তমানে পাঠশালার মেগা ইভেন্ট স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং সেশন চলছে যেখানে সারা দেশের তরুনরা তাদের নানা ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। এছাড়াও সারা দেশে পাঠশালা ছোট বড় আরও অনেক প্রোগ্রাম করেছে। পাঠশালা কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সারাদেশে বর্তমানে ১১ টি শাখা কমিটি সচল রয়েছে, এছাড়াও বেশ কয়েকটি কমিটি প্রস্তাবিত রয়েছে। সারা দেশে পাঠশালার রয়েছে একঝাঁক ক্যাম্পাস এম্বাসেডর, রয়েছে ক্রিয়েটিভ ফ্যাকাল্টি, আইটি সেল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজিং সেল। বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার রেজিস্টারকৃত সদস্য নিয়ে এগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পাঠশালা।

পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা এবাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করা পাঠশালা এই স্বল্প সময়ে সমাজে অনেক বড় বড় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমে আশেপাশের এলাকায় সার্ভে করে কিছু সংখ্যক সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী এবং খাবার বিতরণ করে পাঠশালা। যা থেকে অনুপ্রেরণিত হয়ে সে সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা, পড়াশোনার উপর মনোযোগী হয়। তাদের পিতামাতারা শিশু শ্রমে না দিয়ে পড়ালেখার জন্য পাঠশালায় পাঠায়। পাঠশালার মধ্যে দিয়ে বস্তি এলাকার আশেপাশের অনেক সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সুযোগ করে দিয়েছে পাঠশালা। পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে পাঠশালা। সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছে পাঠশালার একঝাঁক তরুণ-তরুণী।

একজন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি মনে করেন, তরুণরা চাইলেই হাতে হাত রেখে আমাদের দেশের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে পারে। পাঠশালা পরিবারকে নিয়ে তিনি আরও অনেকটা পথ এগিয়ে পথশিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রটা আরও বেগবান করতে চান।

নিউজ ট্যাগ: পাঠশালা পথশিশু

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর