Logo
শিরোনাম

সুদের উচ্চ হারে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংকগুলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মন্দার মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। আর এর প্রভাব বেশ ভালোভাবে পড়েছে ব্যাংক অব আমেরিকা, সিটিগ্রুপ, গোল্ডম্যান স্যাকস, জেপিমরগান চেজ, মরগান স্ট্যানলি ও ওয়েলস ফার্গোর মতো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর ওপরে। আর্থিক মন্দার মুখে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন উচ্চ সুদের হারের সঙ্গে লড়ছে। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এ ছয়টি ব্যাংকের মুনাফা ২০২১ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক থেকে ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসি পর্যন্ত সময়ে ২০ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৪০০ কোটি থেকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে নেমে গেছে।

তবে মুনাফা কমে যাওয়ার হার ছয়টি প্রতিষ্ঠানেই একরকম নয়। যেমন জেপিমরগান ও ব্যাংক অব আমেরিকার মুনাফা কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে, গোল্ডম্যান স্যাকসের আয় দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে। এ ব্যবধানের কারণ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। সাধারণত, ব্যাংক অব আমেরিকা ও জেপিমরগানের মতো বড় ব্যাংকগুলো যখন সুদের হার বাড়তি থাকে, তখন ভালো করে। আর ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে গ্রাহকদের কী দিচ্ছে ও ঋণের মাধ্যমে কী পরিমাণ উপার্জন করছে তার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় ক্রমবর্ধমান সুদের হার, যাকে নিট সুদের আয় ব্যবধান বলা হয়।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিট সুদ থেকে আয়ের ব্যবধান আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। ২০২১ ও ২০২২ সালের শেষে বিশ্বের বড় ছয়টি বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে এ ব্যবধান ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেড়ে ৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছে। অনেকের মতে, উচ্চ সুদের হার গ্রাহকদের ও কোম্পানিগুলোর জন্য ঋণ পরিশোধ করা কঠিন করে তুলবে। তাছাড়া, ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ঋণের ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে ৭২০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।

এদিকে, জেপিমরগানের চেয়ারম্যান জেমি ডিমন ও ব্যাংক অব আমেরিকার চেয়ারম্যান ব্রায়ান ময়নিহান দুজনই এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে মৃদু মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছেন। যদিও এ মুহূর্তে মুনাফা অর্জনের ওপর উচ্চ সুদের হারের প্রভাব ইতিবাচকই রয়েছে। তবে শেয়ার বাজারে ধস নামার কারণে গোল্ডম্যান স্যাকস ও মরগান স্ট্যানলির শেয়ারমূল্য প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এ ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে লাভের পার্থক্যকে কেবল বিনিয়োগ ও আলাদা কর্মক্ষমতা দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। শুধু একটি কারণে মর্গান স্ট্যানলির মুনাফা গোল্ডম্যান স্যাকসের তুলনায় বেশ কম গতিতে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, বড় ভোক্তা ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও ওয়েলস ফার্গো জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি আরেকটি বাজে প্রান্তিকের মুখে পড়তে চলেছে। ওয়েলস ফার্গোর এমন বাজে অবস্থার বড় কারণ হলো, ত্রুটিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকটি যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরোকে ১৭০ কোটি ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়। কারণ, এটির বিরুদ্ধে লাখ লাখ গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভুলভাবে পরিচালনার অভিযোগ ওঠে। তবে গোল্ডম্যান স্যাকসের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা কিছুটা কঠিন। ফার্মটি তার ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে একটি ভোক্তা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। তবে ঋণজনিত ক্ষতির মুখে পড়ে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

গোল্ডম্যানের ভুল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার‌ম্যান ডেভিড সলোমন যুক্তি দেখান, ফার্মটি অল্প সময়ের মধ্যে বেশি ভালো করার চেষ্টা করেছিল। তবে প্রয়োজনীয় প্রতিভা বা পরিকল্পনার অভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তার ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলোর উপার্জন অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশটির অর্থনৈতিক অস্থিরতার ওপর নির্ভর করে। অর্থনীতি ত্বরান্বিত হলে ঋণের চাহিদা কমে যায়। আর ঋণের চাহিদা কমে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আলাদাভাবে চিন্তা করতে হয়। কারণ ব্যাংকের অধিকাংশ মুনাফা আসে ঋণের মাধ্যমে।  মূলত, বিনিয়োগ ব্যাংকগুলো অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সময়ে ভালো উপার্জন করার প্রবণতা রাখে। অন্যদিকে, অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে তাদের পরামর্শমূলক সেবাগুলো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ব্যাংক কর্তাদের এসব বিষয় ও তাদের লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়।

সবশেষে বলা যায়, গত তিন বছরে মার্কিন অর্থনীতি যে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে, তা ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টায় সফলতা ও ব্যর্থতার একটি সাধারণ চিত্র তুলে ধরেছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রকাশ করেছে, ব্যাংকগুলোর নির্বাহীরা কর্মদক্ষতা ও তাদের লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব অর্থনীতি

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর