Logo
শিরোনাম

শুঁটকি মাছে হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে তো বটেই বিদেশে বাংলাদেশের শুঁটকি মাছের একটি ভাল বাজার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী শুঁটকি মাছ পছন্দ করে। দেশের প্রায় সর্বত্র শুঁটকি মাছ বিক্রয় হয়। বিদেশে অভিবাসী হিসেবে যারা আছেন বিদেশের মাটিতে দেশের শুঁটকি মাছ পেলে তারা ক্রয় করছেন। এভাবে বিদেশে বাংলাদেশের শুঁটকি মাছের একটি বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে শুঁটকি তৈরি হয় দশ হতে ১২ হাজার টন। যার অধিকাংশ প্রাকৃতিক উপায়ে অর্থাৎ রৌদ্রে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। বর্তমানে বেশকিছু স্থানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের শুঁটকি তৈরি করে বাজারজাত ও রফতানি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি বছর কমবেশি ১০০ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ বিদেশে রফতানি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রফতানিকারকদের অভিমত, এক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিলে বিদেশে শুঁটকি মাছ রফতানি করে বছরে হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। আশার খবর হলো- শুঁটকি এখন শুধু সুস্বাদু খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না দেশের পোলট্রি এবং মৎস্য খামারে শুঁটকি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত শুঁটকির মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে উৎপাদিত শুঁটকির তুলনায় নিম্নমানের। ভোজন রসিকদের অতিপ্রিয় এবং সুস্বাদু এসব শুঁটকি অতি উচ্চমূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। জানা যায়, তিন কেজি তাজা মাছ শুঁকিয়ে এক কেজি শুঁটকি তৈরি হয়। প্রকার ভেদে শুঁটকির বাজারমূল্য ৩০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়।

শুঁটকির কারখানা : বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে শুঁটকি তৈরি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টন। এর অধিকাংশ প্রাকৃতিক উপায়ে অর্থাৎ রৌদ্রে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শুঁটকি তৈরিতে ১৬টি কারখানা ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে যেখানে রৌদ্রের পরিবর্তে বিদ্যুতের তাপে মাছ শুকানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সারা বছর সমুদ্র থেকে মাছ ধরা হলেও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজারের লুনিয়াছাটা ও নাজিরারটেকে বর্তমানে ২০ এর অধিক রফতানিমুখী শুঁটকির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় শুঁটকি ডিহাইড্রেড করে রফতানি উপযোগী করা হয়। কক্সবাজার সাগর পাড়ে নাজিরাটেকে স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকি মহালে মৌসুমে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি শুঁটকি উৎপাদন করা হয় বলে জানা গেছে।

লাখো মানুষের কর্মসংস্থান : সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার লোকদের অন্যতম পেশা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে শুঁটকি উৎপন্ন করা। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় ১০ লাখ লোক শুঁটকি উৎপাদন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কক্সবাজার সাগর পাড়ের নাজিরাটেকে স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকি মহালে কমপক্ষে ১০-১২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। আশুগঞ্জের লালপুরে শুঁটকি শিল্পের সঙ্গে ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক জড়িত রয়েছেন। এভাবে সারাদেশে শুঁটকি তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে লাখো নারী পুরুষের কর্মসংস্থান জড়িত।

শুঁটকি রফতানি- হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনা : আশার খবর হলো, প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিশাল পরিমাণে শুঁটকি রফতানি হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, আমাদের দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, ব্রিটেন, আমেরিকা, চীন, হংকং, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। জাপান, চীন, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়াসহ ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ এবং আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশেও শুকনো মাছ বা শুঁটকির জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেসব দেশেও বাংলাদেশের শুঁটকি রফতানি সম্প্রসারিত হতে পারে। জানা গেছে, স্বাধীনতার (১৯৭২-১৯৭৩) পর শুঁটকি রফতানি খাতে সরকারের আয় হয়েছে ১৭ হাজার ৯শ টাকা। ১৯৮৫-৮৬ সালে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা, ১৯৯০-৯১ অর্থ সালে ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে শুঁটকি মাছে রফতানি আয় হয় ৬১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এভাবে ক্রমান্বয়ে গত ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এই শুঁটকি মহাল থেকে মাছ রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ৮০ কোটি টাকার উপরে। যা বর্তমানে ১০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল। বাংলাদেশ ডিহাইড্রেশন সীফুডস রফতানিকারক সমিতি সূত্রে, বর্তমানে প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ বিদেশে রফতানি হয়। রফতানিকারকদের মতে, সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিলে বিদেশে শুঁটকি মাছ রফতানি করে বছরে ১০০০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

আশার চরে ১৫০ কোটি টাকার শুঁটকি : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার তালতলী থানাধীন বড়বগী ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগরের কূল ছুঁয়ে জেগে ওঠা আশার চরে সাড়ে ৩ হাজার একর আয়তনে শুঁটকি আর শুঁটকি। শুঁটকির এই বিশাল সাম্রাজ্যে নাকি কমবেশি ২৮০০ টন শুঁটকি উৎপন্ন হয় যার মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

চলনবিলের শুঁটকি : উত্তরাঞ্চলের মৎস্য ভাণ্ডা খ্যাত চলনবিলের দেশী মাছকে কেন্দ্র করে চলনবিলে গড়ে উঠেছে ২৫০টি অস্থায়ী শুঁটকির চাতাল। চলনবিলে প্রায় এক হাজার ৭৫৭ হেক্টর আয়তনের ৩৯টি বিল, চার হাজার ২৮৬ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট ১৬টি নদী এবং ১২০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট ২২টি খাল ছাড়াও অসংখ্য পুকুর রয়েছে। এখানে দুই সহস্রাধিক পরিবার মৌসুমি শুঁটকি তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

হাওড়ে বিষমুক্ত শুঁটকি : হবিগঞ্জের হাওড়ে যুগ যুগ ধরে মৎস্যজীবীরা মাছ আহরণ করে বিক্রি ও অবশিষ্ট মাছ দিয়ে তৈরি করছে শুঁটকি। হাওড়ের জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে নানা প্রজাতির প্রচুর মাছ জন্ম নেয়। বছরের কার্তিক থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত মাছ অবশিষ্ট বাছাই করে শুঁটকি তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি মাছ প্রস্তুত করে মাটির পাত্র মাটিতে পুঁতে রাখা হয় সিদল/চ্যাপা তৈরির জন্য। এখানকার শুঁটকি ও সিদল আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হলে ব্যাপকভাবে বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব।

চট্টগ্রামের শুঁটকির সুখ্যাতি : নগরীর বাকলিয়া এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে (কর্ণফুলী সেতু এলাকা) ৯১ সালের আগে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী এখানে কাঁচা মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি শুরু করেন। বর্তমানে শতাধিক মাচানে শুঁটকি তৈরি চলছে। প্রতি সপ্তাহে শতাধিক টন শুঁটকি নগরীর পাইকারি বাজার আছাদগঞ্জে সরবরাহ করা হয়। প্রতি মৌসুমে অন্তত ৮ কোটি টাকার শুঁটকি কর্ণফুলী তীর থেকে সরবরাহ করা হয়। এই শুঁটকি এখন শুধু চট্টগ্রামের নয়, এর সুখ্যাতি দেশের নানা প্রান্ত ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বাঁশখালীর সুস্বাদু শুটকি : বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া, পুঁইছড়ি, নাপোড়া, শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ, মনকিচর, সরল, বাহারছড়া ও খানখানাবাদের নদী চরগুলোতে জেলেরা শুঁটকি শুকায়। বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলের জেলেরা কোন কিছু মিশ্রণ ছাড়া প্রহর রৌদ্রের তাপে শুঁটকি মাছ শুকায় বলেই বাঁশখালীর শুঁটকি খুবই সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়। বাঁশখালীর জেলে পল্লীগুলোতে শুকানো শত শত মন শুঁটকি ক্রয় করতে চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও চকবাজারের গুদাম মালিকরা।

আশুগঞ্জের শুঁটকি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরে গড়ে উঠেছে শুঁটকি পল্লী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরে মেঘনা নদীর তীরে গড়ে ওঠা শতাধিক ডাঙ্গি বা মাচার ওপর শুঁকিয়ে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এসব শুঁটকি তৈরি করা হয়।

অপ্রচলিত পণ্যের সম্ভাবনা : শুঁটকি মাছ একটি অপ্রচলিত পণ্য। সরকারের উচিত শুঁটকি পণ্যের মজবুত অবকাঠামো তৈরি করা যাতে বেশি পরিমাণ শুঁটকি রফতানি হয়। এজন্য প্রথম প্রয়োজন স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা। দাদন ব্যবসায়ীদের কবল থেকে জেলেদের মুক্ত করা। শুঁটকি প্রস্তুত এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়া। শুঁটকি মাছ রফতানির ওপর শুল্ক কমানো।

নিউজ ট্যাগ: শুঁটকি মাছ

আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর