সিরাজগঞ্জে
মনিরুল হক হত্যা মামলায় স্ত্রী মোছা: মুক্তি খাতুন (২২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক মো:
সাইদুল ইসলাম তুষার ওরফে তুহিন (২৩)কে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদের
প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা
জজের বিচারক ফজলে খোদা মো: নাজির এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণী
থেকে জানা যায়, ঘটনার দুই মাস পূর্বে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শক্তিপুর গ্রামের মৃত
মুক্ত শেখের মেয়ে মোছা: মুক্তি খাতুনের সাথে একই উপজেলার বাড়াবিল উত্তরপাড়া গ্রামের
জেলহক প্রামাণিকের পুত্র মনিরুল হকের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের আগে থেকেই আসামি তুহিনের
সাথে মুক্তি খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ের পরেও তারা অবৈধ মেলামেশা করতে
থাকেন। স্বামী মনিরুল হককে প্রেমের বাধা মনে করেই হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ২০১৯ সালের ৩ জুন স্ত্রী মুক্তি খাতুন তার স্বামীকে নিয়ে দাদার
বাড়ি শক্তিপুর গ্রামে বেড়াতে যান। রাতে মুক্তি খাতুন ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামী মনিরুল
হককে ঘুম পাড়িয়ে দেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তি খাতুন ঘরের দরজা খোলা রাখেন।
পরকীয়া প্রেমিক তুহিন রাত ১২টার পরে মুক্তি খাতুনের ঘরে প্রবেশ করেন এবং দুজনে মিলে স্বামী মনিরুল হককে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মনিরুল হকের পিতা জেলহক প্রামাণিক বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য থেকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো: নাজির আসামি, মোছা: মুক্তি খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক মো: সাইদুল ইসলাম তুষার ওরফে তুহিন প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কারাগারে প্রেরণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি আব্দুর রহমান ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: আব্দুর রাজ্জাক (আতা)।