Logo
শিরোনাম

স্বামীকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন তমা মির্জা

প্রকাশিত:সোমবার ২১ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চিত্রনায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্বামী হিশাম চিশতি। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই মামলায় তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকেও আসামি করা হয়েছে।

এবার বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে হিশাম চিশতিকে মারধরের চিত্র ফুটে উঠেছে। হিশাম চিশতি জানিয়েছেন, তিনি আগেই বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন, তার জের ধরেই হামলার শিকার হতে হয়েছে তাকে।

হিশাম জানান, তার এ ঘটনা থেকে লোক শিক্ষা নিক।

এ বিষয়ে কথা বলতে তমা মির্জার ফোনে ফোন কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, বিষয়টি এখন সে অন্যভাবে উপস্থাপন করছে, আমার নামে সে মামলা করেছে পরে। আমি তার নামে আগে মামলা করেছি বাড্ডা থানায়। নারী নির্যাতন, যৌতুক ও সাইবার ক্রাইমে মামলা করেছি চলতি মাসের ৬ তারিখ। সে বাচাঁর জন্য মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সে বিভিন্ন সময় নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন লোকজন নিয়ে এসে হট্টগোল করে, এমনকি গায়েও হাত দেয়। তাই নারী-নিয়াতন, যৌতুক, সাইবার ক্রাইম মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে যদি নিরাপরাধ হতো তাহলে আমার মামলা করার পরদিন মামলা করত না।

অন্যদিকে তমা মির্জাও স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যৌতুক দাবি, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামী হিশাম চিশতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা। দুটি মামলাই হয়েছে রাজধানীর বাড্ডা থানায়।

এদিকে হিশাম চিশতিকে মারধরের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ রয়েছে তার। এ ছাড়া শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারধরের অসংখ্য চিহ্ন। এসব তমা মির্জার নির্যাতনের চিত্র বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম সেখানকার রাজনীতিতে যুক্ত। বিবাদের কারণ হিসেবে হিশাম জানান, ২০১৮ সালে তমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তমার আগেও দুবার বিয়ে হয়েছিল, যা তারা গোপন করেছেন। এ ছাড়া তমার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতাও করে আসছিলেন হিশাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হিশাম করোনার সময় অসুস্থ মাকে দেখতে কানাডা থেকে দেশে আসেন। এরই মধ্যে স্ত্রী তমাকে নিয়ে দুবাইয়ে হানিমুনেও যান। হানিমুন থেকে ফেরার পর নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিবাদ শুরু হয়।

হিশাম জানান, তমার আগের দুই বিয়ের খবর জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবু সংসার টিকিয়ে রাখতে সব কিছু মেনে নিয়েছিলেন।

হিশাম চিশতি বলেন, তমাদের একটি স্বর্ণের দোকানের শেয়ার ছিল। আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নিয়ে তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে আয় করে তারা সংসার চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন। 

নিউজ ট্যাগ: তমা মির্জা

আরও খবর