ব্রিটেনের মহারানি
দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য সোমবার। পৃথিবী থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে চিরবিদায় জানাবেন
তার স্বজন, শুভানুধ্যায়ীসহ বিশ্বনেতারা। আর স্বামীর পাশেই শায়িত করা হবে তার মরদেহ।
রোববার রানির
প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্রিটেন জুড়ে সরকারিভাবে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সোমবার
(১৯ সেপ্টেম্বর) শোকযাত্রার সঙ্গে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে থেকে রানির মরদেহ নিয়ে যাওয়া
হবে লন্ডনের ওয়েলিংটন আর্চে। সেখান থেকে দেহ আনা হবে উইন্ডসোর দুর্গে। পরে সেন্ট জর্জ
চ্যাপেলে আসবে রানির মরদেহ। সেখানেই রাষ্ট্রপ্রধানদের হাজির থাকার কথা। স্বামী ফিলিপের
কবরের পাশেই শায়িত থাকবে রানির কফিনও। এর মধ্য দিয়ে ১০ দিনের জাতীয় শোকের সমাপ্তি ঘটবে।
উল্লেখ্য, ৯৬
বছর বয়সি এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পর ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডে তার বালমোরাল
এস্টেটে মারা যান।
সোমবার লন্ডনের
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন বাইডেন। কয়েক দশকে দেখা
যায়নি বিশ্বনেতাদের এমন সমাবেশে যোগ দিতে। লন্ডনে আসা প্রায় ৫০০ রাষ্ট্রপ্রধান এবং
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাইডেন। রানির শেষকৃত্য এবং বিশ্বনেতাদের আগমন উপলক্ষ্যে
লন্ডন জুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ১০ হাজারের বেশি
নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী
মুর্মু, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি
অ্যালবানিজ, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এবং কমনওয়েলথ নেতাদের মধ্যে
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অন্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে অংশ নিচ্ছেন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ, আইরিশ প্রেসিডেন্ট তাওইস্যাচ মাইকেল মার্টিন,
জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার এবং ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও
মাতারেলা। এছাড়া ইউরোপ জুড়ে থাকা রাজপরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। ১৯৬৫ সালে উইনস্টন
চার্চিলের মৃত্যুর পর ব্রিটেনে প্রথম অনুষ্ঠেয় এ রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সোমবার
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের
পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার অতিথি যোগ দেবেন।
দীর্ঘদিন ব্রিটিশ
সিংহাসনে দায়িত্ব পালনকারী রানি কতটা যে জনপ্রিয়, তা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের
ঢল দেখলেই বোঝা যায়। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও রাস্তায় ১৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্রদ্ধা
জানিয়েছেন তার ভক্তরা।