মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তার তাইওয়ান সফর শেষ করে আজ বুধবার (৩ আগস্ট) তাইপে ছেড়েছেন। তিনি যেন এ সফরে না আসেন সে জন্য চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দেবার পর এ নিয়ে দু'দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তাইপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার (৩ আগস্ট) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলের আকাশসীমায় চীনের ২৭টি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করেছে। এক টুইট বার্তায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৩ আগস্ট ২০২২ পিপলস লিবারেশন আর্মির ২৭টি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করে।
এদিকে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, চীনের হুমকি ও বাগাড়ম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ভীত হবে না। তিনি আরও বলেন, চীন তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংঘর্ষে জড়াতে পারে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ক নির্ভর করবে চীনের ভবিষ্যৎ আচরণের ওপর।
চীন তাইওয়ানকে তার নিজের অংশ বলে মনে করে এবং বিভিন্ন সময় তারা "প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও" দ্বীপটিকে পুনর্দখল করার কথা বলেছে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে।
তাইওয়ানে পেলোসির এই সফরের জবাবে চীন বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিন ধরে দ্বীপ রাষ্ট্রটির চার দিকে সামরিক মহড়া চালাবার কথা ঘোষণা করেছে।
তাইওয়ানকে ঘিরে সাগরের ছয়টি জায়গায় তাজা গোলাবারুদ এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ মহড়া হবে এবং তা রবিবার পর্যন্ত চলবে।
বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, যে ছয়টি এলাকায় এই চীনা মহড়া চলবে তার তিনটি পড়েছে তাইওয়ানের উপকূল থেকে ১২ মাইলের সমুদ্রসীমার ভেতরে এবং এ ব্যাপারটি নজিরবিহীন।
তাইওয়ান বলেছে, এটা হবে তার আকাশ ও সমুদ্রসীমায় চীনের অবরোধ আরোপের শামিল এবং জাতিসংঘের কনভেনশনের লংঘন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়া্ং ই ন্যান্সি পেলোসির এ সফরকে 'এক প্রহসন' বলে আখ্যায়িত করে অভিযোগ করেন। তিনি তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সার্বভৌমত্ব লংঘন করছে।
তার এ সফরের প্রতিবাদ জানাতে বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাছাড়া তাইওয়ান থেকে বেশ কিছু পণ্য আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন।