Logo
শিরোনাম

তালেবানের বছরপূর্তি, আরও খারাপ হয়েছে মানবিক সংকট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টানা ২০ বছর যুদ্ধের পর সামরিক শক্তির জোরেই গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নিয়েছিল তালেবান। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি সোমবার তাদের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের প্রথম বার্ষিকী পালন করছে। ক্ষমতায় ফিরে আসার প্রথম বর্ষপূর্তি পালনে সোমবার দেশটিতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছে তালেবান।

বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর সামগ্রীকভাবে একটি অশান্ত বছর পার করেছে আফগানিস্তান। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নারী অধিকার চূর্ণ হয়েছে এবং দেশটিতে বিদ্যমান মানবিক সংকট আরও খারাপ হয়েছে। তালেবানের অগ্রাভিযানের মুখে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের পতন হয়। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সেদিনই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলে প্রবেশ করে গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা। এরপর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তালেবান। তবে বিশ্বের কোনো দেশই এখনও অবশ্য তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এছাড়া ক্ষমতা দখলের পর তাদের উচ্চারিত বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও রয়েছে অধরাই। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গত বছরের ১৫ আগস্ট তালেবানের যোদ্ধা হিসেবে কাবুলে প্রবেশ করেছিলেন নিয়ামতুল্লাহ হেকমত। কাবুল আক্রমণ এবং দখলের এক বছর পর এখন তিনি বলছেন, আমরা জিহাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছি এবং আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছি।

এএফপি বলছে, ক্ষমতাসীন তালেবান কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত তাদের বার্ষিকী উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিক উদযাপন ঘোষণা করেনি। তবে আফগান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, বছরপূর্তি উপলক্ষে তারা বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। তালেবান যোদ্ধারা অবশ্য আনন্দ প্রকাশ করেছে যে তাদের দল এখন ক্ষমতায় রয়েছে। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, আফগানিস্তানের ৩৮ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয়েছে।

হেকমত বলছেন, যে সময় আমরা কাবুলে প্রবেশ করি এবং আমেরিকানরা যখন চলে যায়, সেই সময়টি ছিল আনন্দের মুহূর্ত। গত বছর বিজয়ীর বেশে কাবুলে প্রবেশ করা এই যোদ্ধা বর্তমানে আফগান বিশেষ বাহিনীর সদস্য এবং তিনি এখন প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ পাহারার দায়িত্বপালন করছেন। কিন্তু সাধারণ আফগান নাগরিক বিশেষ করে নারীদের জন্য তালেবানদের প্রত্যাবর্তন শুধু কষ্টই বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিকভাবে কঠোর ইসলামি শাসনের পরিবর্তে একটি উদার শাসন কাঠামোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলার জন্য নারীদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আফগানিস্তানের কয়েক হাজার মেয়েকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাইরে রাখা হয়েছে, একইসঙ্গে নারীদেরকে অনেক সরকারি চাকরিতে ফিরে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের মে মাসে সর্বজনীন ভাবে আফগান নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কাবুলের বাসিন্দা ওগাই আমাইল বলছেন, যেদিন থেকে তারা (তালেবান ক্ষমতায়) এসেছে, জীবন তার অর্থ হারিয়েছে।

আফগান এই নারীর অভিযোগ, আমাদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারা এমনকি আমাদের ব্যক্তিগত জায়গায় প্রবেশ করেছে। এর আগে গত শনিবার রাজধানী কাবুলে কয়েক ডজন নারীর বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয় তালেবান। এ সময় নারীদের বেধড়ক লাঠিপেটার পাশাপাশি ফাঁকা গুলিও বর্ষণ করে তালেবানের যোদ্ধারা। প্রায় ৪০ জন নারী তাদের অধিকারের দাবিতে আফগানিস্তানের রাজধানীতে মিছিল করছিলেন। পরে তালেবানের সদস্যরা লাঠিচার্জ এবং শূন্যে গুলি ছুড়ে সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তালেবানের যোদ্ধারা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝিতে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের পর তা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। এছাড়া পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের একাকী ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে। অবশ্য তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানরা তাদের দেশে সহিংসতা হ্রাস পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও মানবিক সংকট অনেককে আরও অসহায় করে দিয়েছে। কান্দাহার শহরের দোকানদার নুর মোহাম্মদ বলছেন, আমাদের দোকানে আসা লোকেরা এতো বেশি দামের অভিযোগ করছে যে আমরা দোকানদাররা নিজেদের ঘৃণা করতে শুরু করেছি। তবে তালেবান যোদ্ধাদের জন্য বিজয়ের আনন্দ বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটকে ছাপিয়ে গেছে। কাবুলের একটি পাবলিক পার্ক পাহারারত একজন যোদ্ধা বলছেন, আমরা দরিদ্র হতে পারি, আমরা হয়তো কষ্টের সম্মুখীন হতে পারি, কিন্তু ইসলামের সাদা পতাকা এখন আফগানিস্তানে চিরকালের জন্য উড়বে।

উল্লেখ্য, ২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর জেরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থাও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট প্রতিদিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এছাড়া তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই বিদেশি সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল আফগানিস্তানের অর্থনীতি। গত বছরের আগস্ট থেকে সেই সহায়তা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত এক বছরে আর্থিক ও মানবিক সংকট কেবলই বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: তালেবান

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর