পৌষের হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে ঠাণ্ডার তীব্রতা। গত দুইদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। আজ রোববারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান।
ভোর থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সন্ধ্যা গড়ালেই নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। বেলা বাড়ার সাথে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনো তাপ। এতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন তারা। হঠাৎ করেই শীত অনুভূত হওয়ায় অনেকের শরীরেই উঠেছে গরম কাপড়।
শীতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। তীব্র ঠাণ্ডায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে আয় কমেছে শ্রমজীবী মানুষের।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছী গ্রামের বাসিন্দা পাখিভ্যানের চালক জুলমত আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে এতো ঠাণ্ডা যে, ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছি না। আজ একটা সমিতির কিস্তির টাকা দিতে হবে, তাই ঘরে শুয়ে থাকতি পারিনি।
গত ডিসেম্বর মাসে চারদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া বাতাসের আদ্রতা বেশি। এ মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গত দুইদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। আজ রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, যা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। এখন তাপমাত্রা কমে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।