Logo
শিরোনাম

টানা তৃতীয় বছরের মতো শীর্ষ গাড়ি বিক্রেতা টয়োটা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে বিশ্বজুড়ে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছে টয়োটা। ২০২১ সালেও প্রায় একই সংখ্যক গাড়ি বিক্রি করেছিল জাপানি প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী ফক্সওয়াগনকে হটিয়ে তৃতীয় বছরের মতো বিশ্বের শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা হতে যাচ্ছে টয়োটা। জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির তুলনায় টয়োটা ২১ লাখ ৪০ হাজার বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। এর মধ্যে টয়োটার সাবসিডিয়ারি দাইহাতসু মোটর ও হিনো মোটরসের গাড়ি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে ফক্সওয়াগনের বিক্রি ৯ শতাংশ কমে গেছে। পুরো বছরের হিসাবে টয়োটাকে ছাড়িয়ে যেতে ডিসেম্বরে সংস্থাটিকে মাসিক গড়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি গাড়ি বিক্রি করতে হবে। তবে টয়োটা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রীত গাড়ি বাদ দিয়েই ফক্সওয়াগনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শক্তিশালী অবস্থান চলতি বছর টয়োটাকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। যদিও বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতির মতো প্রতিবন্ধকতাগুলোর কারণে স্বাভাবিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেয়েছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। যন্ত্রাংশ ঘাটতির কারণে মহামারীর পুরো সময়ে সংস্থাগুলোকে বার বার গাড়ি উৎপাদন স্থগিতের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দাইহাতসু ও হিনো বাদ দিয়ে টয়োটার গাড়ি বিক্রি চীনে ২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে চীনা কারখানায় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়েছিল সংস্থাটি। এ উদ্যোগ সংস্থাটিকে কোভিডজনিত মন্দা কাটিয়ে গাড়ি বিক্রি পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে। সংস্থাটির বিশেষ করে করোলা ও ক্যামরি সেডান গাড়ি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকলগুলো (এসইউভি) জনপ্রিয় ছিল। ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে সংস্থাটি গাড়ি বিক্রিতে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। ফক্সওয়াগন এশিয়ায় তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। চীনে সংস্থাটির গাড়ি বিক্রি ৬ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিক্রি ৬ শতাংশ বেড়েছে। চীনে লকডাউনের মতো কোভিডজনিত বিধিনিষেধ গাড়ি শিল্পের যন্ত্রাংশ সরবরাহ এবং শিপিং ব্যাহত করেছে। এ কারণে ফক্সওয়াগনের মূল ভিত্তি উলফসবার্গের কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফক্সওয়াগনের মোট গাড়ির প্রায় ৪০ শতাংশই বিক্রি হয়েছে চীনে। যেখানে টয়োটার ক্ষেত্রে এ হার ২০ শতাংশ। বিশ্বের বৃহত্তম এ গাড়ির বাজারে অনেক পরে প্রবেশ করেছে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি। তবে সংস্থাটি লকডাউন ও চিপ ঘাটতির মতো প্রভাবগুলো সীমিত করতে পেরেছিল।

চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স এ বছর নতুন গাড়ি বিক্রি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। কিন্তু সরকারের জিরো কভিড নীতি কারখানা ও ডিলারশিপের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করতে বাধ্য করেছিল। যদিও চলতি মাসের শুরুতে এ নীতি থেকে সরে আসে বেইজিং। কোভিডজনিত বিধিনিষেধ তুলে দেয়ায় টয়োটা ও ফক্সওয়াগনের গাড়ি বিক্রি বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছুদিন ধরে পুনরায় চীনজুড়ে বিপুলসংখ্যক সংক্রমণ নতুন সংকট তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতি জানুয়ারি থেকে গাড়ির চাহিদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। টয়োটা উত্তর আমেরিকা ও জাপানেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিল। এ কারণে বাজার দুটিতে সংস্থাটির গাড়ি বিক্রি প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। আবার ফক্সওয়াগনের শক্তিশালী বাজার পশ্চিম ইউরোপে গাড়ি বিক্রি ৭ শতাংশ কমে গেছে।

তবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রি টয়োটার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ফক্সওয়াগন। বছরের প্রথম ১১ মাসে জার্মান সংস্থাটি ৩ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট ইভি বিক্রি করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে এ সময়ে ২০ হাজার ইউনিটেরও কম ইভি বিক্রি করেছে টয়োটা। রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী বছর বিশ্বজুড়ে নতুন যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি ৬ শতাংশ বেড়ে ৮ কোটি ৩৬ লাখ ইউনিটে পৌঁছবে। তবে অন্তত ২০২৪ সাল পর্যন্ত গাড়ি শিল্পে চিপ ঘাটতির প্রভাব থাকবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

নিউজ ট্যাগ: টয়োটা

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর