Logo
শিরোনাম

তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি ছাড়াল, আরও বাড়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শীত মৌসুম কেটে গেলেও তার প্রভাব কিছুটা এখনো রয়েছে। এদিকে চলে এসেছে ফাল্গুনও। তাই দিন দিন কড়া হচ্ছে সূর্যের চোখ রাঙানি। 

আবহাওয়া অফিস বলছে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আরও বাড়ার আভাস রয়েছে। 

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে কুমিল্লা অঞ্চলসহ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দুই/এক জায়গায় হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

ভোরে দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।

আগামী দু’দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বর্ধিত পাঁচদিনের সময়ের শুরু দিকে দেশের উত্তর অথবা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্ৰবৃষ্টি হতে পারে। 

শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সাতক্ষীরায় ২ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৩০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।   


আরও খবর



সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি সম্পাদকদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি করেছেন দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকগণ। আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সম্পাদকেরা। এ সময় সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা করা হচ্ছে, তা বন্ধের দাবিও করা হয়েছে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, বিটিভি, বিএসএস এবং রেডিও, যেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেগুলোকে স্বায়ত্ত শাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। তারা যেন পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা উৎসুক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক বলেন, আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশা করছি। সেই সংস্কারের মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো, এন্টি করাপশন কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন, নির্বাচন কমিশন এগুলোকে সংস্কার করা। সত্যিকার অর্থে গণমুখী সংস্থা আমরা চাই। নির্বাচন কমিশন যাতে ভবিষ্যতে ভোটারদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটান, এরকম একটা সংস্থা চাই। আমরা এমন দুর্নীতি দমন কমিশন, তারা যেন স্বাধীন ভাবে দেশের দুর্নীতি দমন করতে পারে।

সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের মধ্যে সাংবাদিক নিপীড়নের যে অধ্যায়গুলো আছে সেগুলো কার্যত হবে না। এমনটা যাতে ঘোষণা করা হয়। এটা সংস্কারের জন্য ওনারা সময় নিয়ে করতে পারেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতা বিশ্বাস করেন। আমাদেরকে যে বিশেষ আবেদন করেছেন, আমরা যেন আমাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। এ সরকারের ভুল ত্রুটি সোচ্চার ভাবে, নির্দ্বিধায় সেটা যেন কাগজে ছাপি। এই সরকারকে সাহায্য করি।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন। মিডিয়াবান্ধব যদি কোনো সরকারপ্রধান আমরা পেয়ে থাকি, তাহলে আমরা এখন পেয়েছি। আমরা এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন যে, একটা গ্রুপ করে দেওয়া বা একটা বিশেষ কমিটি করে দিয়ে সব ধরনের আইনের যে পরিবর্তন করা হয়। আমারও সংবিধান সংস্কার চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রিফর্ম চাই।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে এগুলো তার সরকারের কোনো পলিসিগত কিছু না।

মাহফুজ আনাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে সেটা সম্পাদকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। সে বিষয়ে অনেকের মতামত দিয়েছেন। তবে এই সরকারের মূল অ্যাজেন্ডা কী? সেটার অনুপাতে সময়। ২,৩, ৫বছর, ওনার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই। জাতি কী চায়? জনতা কী চিন্তা করছেন? সেটা তিনি জানতে চান৷ তিনি মিডিয়াকে আহ্বান করেছেন। আমরা যেন জনগণের কথা লিখি।


আরও খবর

শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




লুট হওয়া অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষদিন আজ, কাল থেকে অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ও পরে সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক নির্দেশনায় কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে মঙ্গবারের মধ্যে তা নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী- দেশে বিভিন্ন জনের কাছে থাকা বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এসব বৈধ অস্ত্রের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি, অর্থাৎ এখনও জমা হয়নি ৪৬ হাজারের বেশি অস্ত্র। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দিতে হবে এসব অস্ত্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান চালানো হবে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে সব বাহিনীর সমন্বয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।

একটি সূত্র থেকে জানা যায়, রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সম্প্রতি থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়ে এতে জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা-ঢাকা দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গুলি করার অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নির্বিচারে গুলি করায় সরাসরি জড়িত ও পলাতক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, জেল পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর দেওয়া হবে।

পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত লুণ্ঠিতসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি। গুলি জব্দ করা হয়েছে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড, টিয়ার গ্যাসের শেল ২২ হাজার ২০১টি ও সাউন্ড গ্রেনেড দুই হাজার ১৩৯টি।

২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।

এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গুলি জমা না দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর

শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




খুলনা মেডিকেলের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, চিকিৎসাসেবা বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালের ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ও কালো তালিকাভুক্ত করায় বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগের অধিকাংশ সেবা। বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে কর্মস্থলে আসেনি বহির্বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসক। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, মঙ্গলবার খুলনা মে‌ডি‌কেল কলেজের শিক্ষার্থী‌দের এক‌টি অংশ হাসপাতা‌লের ভারপ্রাপ্ত উপপ‌রিচালক ডা. আক্তারুজ্জামানকে পদ‌ত‌্যাগ করতে বাধ্য করেন। এ সময় আরও ৪১ জন চি‌কিৎসক‌কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থী‌দের নেতৃত্ব দেন কা‌র্ডিও‌লো‌জি বিভাগের সহকারী অধ‌্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল। ফলে বুধবার নিরাপত্তা ঝুঁকি‌তে হাসপাতা‌লে আসেন‌নি অনেক চি‌কিৎসক।

সরেজমিন দেখা যায়, ব‌হির্বিভা‌গের ২০২নং রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯নং রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭নং রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫নং রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪নং রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩নং রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১নং রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২নং রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩নং রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮নং রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪নং রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১নং রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০নং রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২নং রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫নং রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চি‌কিৎসক অনুপস্থিত। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় তারা হাসপাতালে আসেননি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকা‌রী রেজিস্ট্রার কনসালট‌্যান্টসহ আরও ২১ জন চি‌কিৎসক অনুপ‌স্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চি‌কিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা থেকে আসা আরেফিন বিল্লাহ বলেন, বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি সকাল ১০টার দিকে। দুপুর পার হলেও চিকিৎসক আসেননি। আমি শিক্ষকতা করি, আজ ছুটি থাকায় এসেছি। অথচ এসে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। শুধু আমি নই, অন্য রোগীরাও ফিরে যাচ্ছেন।

হাসপাতালে আসা রোগী সাদিয়া আফরিন বলেন, ডাক্তার দেখাতে এসেছি সেই সকালে, এখনও দেখাতে পারিনি। আজ তো দেখাতে পারিনি, আগামীকালও ডাক্তার আসবে কি না জানি না।

ডাক্তারদের রুমের সামনে রোগীদের সিরিয়াল দেখভালের দায়িত্বরতরা জানান, সকালে আমরা এসেছি। এসে দেখি চিকিৎসকরা আসেননি। ফোন করলে তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা, এ জন্য আসেননি। রোগীরা আসছেন, আবার ফিরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুমন রায় মুঠোফোনে বলেন, গতকাল ইনটার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় ডাক্তার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের ঘিরে ধরে। পরে তারা উপপরিচালককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। আর আমাদের প্রায় ৫১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় আমরা আসিনি।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-সংলগ্ন নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফারুক বলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা আমাকে পাঠিয়েছেন, হাসপাতালে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চিকিৎসকদের নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কিনা দেখতে। সকালে আমরা এখানে এসেছি, এসে দেখি ডা. মোস্তফা কামাল নেই। বহির্বিভাগে অনেক রোগী এসে ফিরে যাচ্ছে। এটা কাম্য নয়। আমরা চাই হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, গত ১৬ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তারা নিগৃহের শিকার হোক আমরা চাই না। আমরা জানতে পেরেছি, অনেকেই ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাচ্ছেন। একজনকে সরিয়ে দিয়ে আরেকজনকে বসানোর একটা ফাইদা লোটার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এখানে বার বার একজন ডাক্তারের নাম উঠে আসছে। তিনি হলেন, কার্ডিওলোজি বিভাগের ডা. মোস্তফা কামাল। তাকে আমরা পায়নি। তার ব্যাপারেও আমরা তদন্ত করে দেখছি। কাউকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া আমরা সমর্থন করি না। কাউকে সরাতে হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ধাপে ধাপে করতে হবে। এক দিনেই ৪০ জনকে সরিয়ে দেব, এতে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হবে। পুরো খুলনা বিভাগে এর প্রভাব পড়ছে। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও কথা বলবো। এখানে দুটি পার্ট রয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা। শিক্ষা পার্টের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই কাজটি করেছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগে শুধু শিক্ষার্থীদের অধিকার নেই, এখানে খুলনা বিভাগের নাগরিক ও রোগীদের অধিকারটাই বেশি। আমরা এখানে সুষ্ঠু সমাধানে একটি ভূমিকা রাখতে চাই।


আরও খবর



হাসপাতালে স্বাভাবিক কাজে ফিরছেন চিকিৎসকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক সূচিতে চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এ তথ্য জানান হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক আব্দুল আহাদ।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি অনুযায়ী হাসপাতাল প্রশাসন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাই চিকিৎসকদের কর্মসূচি স্থাগিত করা হয়েছে। কাল থেকে হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাবেন রোগীরা।

এর আগে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে দেশের সব হাসপাতালের বহির্বিভাগে (আউটডোর) চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। হাসপাতালের অন্যান্য সেবাও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এ ছাড়া রোগীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন (রেসিডেন্ট) আবদুল আহাদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

নিউজ ট্যাগ: চিকিৎসক

আরও খবর



মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে হরিলুট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে যেন হরিলুট হচ্ছে।  একের পর এক সামনে আসছে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ঘিরে দুর্নীতি খবর। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কয়লা আমদানিতে তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা নেয় প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্মকর্তারা। কিছুদিন আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে  মাতারবাড়ীতে ১৭৭০ কোটি টাকার দুর্নীতি শিরোনামে  একটি খবর প্রকাশিত হয়। এর কয়দিন পরেই আবার ১৫ কোটি টাকার তার পাচারের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ।

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খানকে গত ২৯ আগস্ট একটি আন্তর্জাতিক কনসোটিয়াম মাতারবাড়ি প্রকল্পে সিজিপিসিবিএল কর্তৃপক্ষকে অনিয়ম ও দুর্নীতি উল্লেখ করে চিঠি প্রদান করা হয়।  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-সিজিপিসিবিএল মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টে ৩ বছর ব্যাপী ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কয়লা আমদানির ও সরবরাহের অভিজ্ঞতা উল্লেখ থাকলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে বেআইনি সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া ১০ মাস ধরে দেরি করা হয়। জানা যায়, পরপর চারবার সংশোধনীর মাধ্যমে "কয়লা আমদানীর এবং সরবরাহের অভিজ্ঞতার" শর্তটি পরিবর্তন/পরিবর্ধন  করে কয়লার পরিবর্তে লোহা, সার, কেমিক্যাল, সিমেন্ট, খাদ্য শস্য আমদানীর অভিজ্ঞতা" কে যোগ্যতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দরপত্রে অনিয়মের প্রেক্ষিতে একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট। সুপ্রিম কোর্টে গতকাল এই শুনানি শুরু হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ এই শুনানিতে অংশ নেয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

প্রতিনিধি জানান,  কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ১৫কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার পাচারকালে সাতজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী। গত শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে গতকাল সকালে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এরপর গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালানোর সময় ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি আবুল কালাম আজাদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক তার পাচারের প্রস্তুতি নিয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালীতে দায়িত্বরত নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রে অভিযান শুরু করে। বিকেল থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন বন্দরের ৪ নম্বর জেটিঘাট থেকে ১৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার জব্দ করে। এসব বৈদ্যুতিক তার একটি বার্জ জাহাজে করে চারটি কন্টেইনার ভর্তি করে চট্টগ্রামে পাচার করছিল। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনী সাতজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এসব বৈদ্যুতিক তার চট্টগ্রামের বেসরকারি কোম্পানি ইকবাল মেরিনে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানিয়েছেন, এই তার পাচারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও এমডি আবুল কালাম আজাদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম এবং প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলফাজ হোসেনও জড়িত।

এরই মধ্যে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় অভিযোগ ওঠার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা থেকে উৎপাদিত ড্রাই অ্যাশ (পোড়ানো ছাই) বিক্রির দরপত্রেও বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সিপিজিসিবিএল-এর বিরুদ্ধে। কয়লার ড্রাই অ্যাশ বিক্রিতে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও সর্বনিম্ন দরদাতাকে দরপত্র পাইয়ে দিতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে প্রকল্পসূত্রে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে আসায় সিপিজিসিবিএল এমডি আবদুল কালাম আজাদ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিজাইন) কামরুল ইসলাম, সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দিন ও ডিজিএম (ডেপুটেশন) মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আমাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে গত ২২ আগস্ট উঠে আসে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিপিজিসিবিএলের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেখা যায়, অবৈধভাবে ১৬টি কাজে ১০৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার ভেরিয়েশন প্রদান, প্রকল্পের টাউনশিপ এলাকায় বালু ভরাটের নামে ৬৮ কোটি টাকা,  বিটুমিন বা পিচের সড়ক না করে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করে ২৫৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব স্ক্র্যাপ বিনা নিলামে বিক্রির মাধ্যমে ৫৩ কোটি টাকা, ইনস্টিউশনাল ডেভেলপমেন্টের নামে ১২ কোটি টাকা, প্রকল্পের ঠিকাদারের লেফটওভার ম্যাটেরিয়াল বিক্রির মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা ছাড়াও বিভিন্ন মূল্যবান মালামালের কান্ট্রি অব অরিজিন পরিবর্তন করে এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রকল্পে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করা হয়।


আরও খবর