তাপমাত্রা প্রায়
৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি উঠেছে। আভাস রয়েছে আরও বাড়ার। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায়
এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো.
তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ
ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় আগামী
রোববার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের
দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে
দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে
আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহওয়া শুষ্ক থাকবে।
গত ১৫ এপ্রিল
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,
যা গত আট বছরের মধ্যে শীর্ষে। মাঝে এক সপ্তাহ ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির পর ফের বাড়ছে তাপমাত্রা।
ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অষ্টম তাপপ্রবাহ।
এদিকে রাজশাহী,
পাবনা, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের
তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তৃত লাভ করতে পারে। সারাদেশে
দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আগামী সোমবার
(২৫ এপ্রিল) নাগাদ দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার সামান্য
পরিবর্তন হতে পারে।
শনিবার দেশের
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাইজদী
কোর্টে ৪৫ মিলিমিটার।