এসএসসি নির্বাচনি পরীক্ষায় নকল করা দুই ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় প্রধান শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে।
লাঞ্ছিত ওই শিক্ষক জেলা শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারামপুর হামিদুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পৌর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক সামিউল ইসলাম।
গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত একটি বোর্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে জানাজানি হলে ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এসএসসির নির্বাচনিতে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় মোবাইল ফোন দেখে নকল করছিল ওই বিদ্যালয়ের দুই পরীক্ষার্থী। পরে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকের ঘটনাটি নজরে আসলে তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন তিনি। পরবর্তীতে অন্য শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করে নকলের সাথে জড়িত ওই দুই পরীক্ষার্থীকে নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কার করেন প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ রয়েছে, বহিষ্কারকৃত ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবার মেয়রের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ঘটনার পর থেকে মেয়র নিজে এবং অনন্য কাউন্সিলরদের দিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলামকে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মেয়রকে সাফ জানিয়ে দেন এ বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পৌর মেয়র তার দলবল নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আরাফাত বোর্ডিংয়ে ঢুকে ওই শিক্ষককে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।
লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম জানান, শনিবার পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান আমাকে ফোন করে ওই দুই ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু আমি তাকে বলি এটা করলে নিয়ম লঙ্ঘন হবে। এ সময় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন। পরবর্তীতে তার লোকজন নিয়ে আরাফাত বোর্ডিংয়ে ঢুকে আমাকে মারধর করে চলে যান।
এদিকে শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ করলেই তো সত্য হয়ে যায় না। এমন ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমি কাউকে মারধর করিনি।