Logo
শিরোনাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক কার্তিকের (ভিডিও)

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনেই হ্যাটট্রিকের দেখা মিলল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন সংযুক্ত আরব আমিরাতের লেগ স্পিনার কার্তিক মেইয়াপ্পন।  হ্যাটট্রিক করলেন ২২ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার হলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা পঞ্চম বোলার। আমিরাতের বোলিং তোপে লঙ্কানরা মাত্র ৮ উইকেটে ১৫২ রান তুলতে পেরেছে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১৫তম ওভারের ঘটনা।  চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে পরপর তিনটি উইকেট তুলে নেন মেইয়াপ্পন। চতুর্থ বলে ফিরেন ভানুকা রাজাপক্ষে (৫)। পরের বলে চারিত আসালঙ্কাকেও (০) তুলে নেন মেইয়াপ্পন।  ওভারের শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে তিনি হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। এর আগে ৬০ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। পরের ব্যাটাররা ভালো করতে না পারায় লঙ্কানদের স্কোর বড় হয়নি।

মেইয়াপ্পনের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে হ্যাটট্রিক হয়েছে ৪টি। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি, প্রথমবার এই কীর্তি গড়েন। দীর্ঘ বিরতির পর গত ২০২১ বিশ্বকাপে দেখা যায় তিনটি হ্যাটট্রিক।  নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা হ্যাটট্রিক করেছেন।  আজ মেইয়াপ্পনের হ্যাটট্রিক বলটি ছিল গুগলি। যেটা উইকেটে বাঁক নিয়ে একটু উঠে শানাকাকে বোকা বানিয়ে দেয়।



আরও খবর

২০২৬ বিশ্বকাপে ১০৪ ম্যাচ

বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩

ঢাকায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা সদস্য ছাড়াও নারী-শিশুসহ ৭৪ জন। তাদের স্মরণে আজ শাহাদাতবার্ষিকী পালন করবে বিজিবি। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

এ ট্র্যাজেডির পর দীর্ঘ সময়ে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয়েছে।  হাইকোর্টের রায়ে পিলখানায় হত্যার দায়ে অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ বহাল রেখেছে। একইসঙ্গে  ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আপিল বিভাগে শুনানি হবে বলে জানা গেছে। তবে বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলা এখনো ঝুলছে। রাষ্ট্রপক্ষের এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। 

২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী  সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের স্মরণে আজ শনিবার  শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে।    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)   জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম, পিবিজিএমএস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  জানিয়েছেন, শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সকল স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সকল সদস্য কালোব্যাজ পরিধান করবেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাস্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) এবং শহীদদের নিকটাত্মীয়গণ স্মৃতিস্তম্ভে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল ) এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, বহুল আলোচিত ও নৃশংসতম পিলখানা হত্যা মামলার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল শুনানি চলতি বছরেই শুরু হতে পারে। আপিল বিভাগ যেদিন শুনানি শুরু করবে সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি শুরু হবে। আমরা আদালতকে শুনানির আর্জি জানাতে পারব। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে অগ্রাধিকার  ভিত্তিতে এই শুনানি হতে পারে।

পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলা ১৩ বছর পরও সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম এই হত্যাযজ্ঞে বিস্ফোরক আইনে করা অন্য মামলার বিচার এখনো বিচারিক আদালতেই শেষ হয়নি। আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তর পিলখানা হত্যা মামলা। নিয়মিত যে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আছে সেখানেই এর বিচার হবে।

এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জনকন্ঠকে বলেছেন, আমরা সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।  আমরা এক মাসের  মধ্যে সারসংক্ষেপ দিয়ে দেব।  এরপর আপিল শুনানির জন্য রেডি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে রায় হলেও নিম্ন আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলাটি ঝুলে রয়েছে। সেখানে ১২৬৪ সাক্ষীর মধ্যে ২৫৭ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের এক মামলার বিচারের দুই ধাপ শেষ হয়েছে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে। রায় কার্যকর করতে হলে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, শেষ ধাপটি চলতি বছরই হতে পারে। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিডিআর হত্যা  মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। রায়ে মৃত্যুদন্ডসহ ৫৫২ জনকে বিভিন্ন ধরনের দন্ড প্রদান করা হয়েছে।  মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নবেম্বর দুদিন ধরে এ রায়টি প্রদান করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে শেষ হয়। বেঞ্চের অন্য দুই জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি  মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তান্ডব চালায় পিলখানায়। ওই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। হত্যা মামলার সঙ্গে এ মামলার  বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝ পথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।   যে কারণে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ৩৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের ভোট ও মত প্রকাশের অধিকার হরণকারী ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী নিশিরাতের ভোটের সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই জানমালের নিরাপত্তা। যেখানেই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে সেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষের ওপরও গুলি চালাতে কুণ্ঠাবোধ করছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ে বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ যেভাবে গুলি চালিয়েছে তা সরকারের নিষ্ঠুরতার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের নির্বিচার গুলি ও হামলায় শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। একদিকে গুম-খুন-লুটপাট ও নিপীড়ণ চলছে, অন্যদিকে চলছে গোয়েবলসীয় কায়দায় অকথ্য মিথ্যাচার।

তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকারের লোকজন উন্মাদ হয়ে গেছে। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন ও চলমান গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে যেসব মিথ্যাচার চালাচ্ছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের মুখে এসব কথাই শোভা পায়। মন্ত্রীত্ব বাঁচাতে সরকারের মন্ত্রীরাও মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের রুচিহীন এমন বক্তব্য জনগণ কোনোভাবেই বিশ্বাসতো করেই না, বরং তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে অবৈধ সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সরকার বুঝে গেছে-তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাত্তোর আওয়ামী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশে-বিদেশে ফায়দা লুটেছিল। এই ভোটারবিহীন সরকারও একই কায়দায় ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার নানা ধরনের অপকৌশল চালাচ্ছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসিত মিথ্যাচার, পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার, নিপীড়ণ, নেত্রকোণায় সাবেক এমপির বাড়িতে পুলিশি হামলা, সাবেক এমপি হারুন অর রশীদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অশ্রাব্য মিথ্যাচারের ঘটনা সবই একই সূত্রে গাঁথা।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে পঞ্চগড়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ একের পর এক বিভেদ সৃষ্টি করে পুলিশি হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার এবং জিয়া পরিবার ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


আরও খবর



কাল ঢাকায় পদযাত্রা করবে ১২ দলীয় জোট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকায় পদযাত্রা করবে ১২ দলীয় জোট।

রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কসংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা মোর ঘুড়ে কালভার্ট রোড হয়ে আবারও বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে পর্যন্ত ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে এই পদযাত্রা হবে বলে জানিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা।


আরও খবর



ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং সেক্টরে ব্যর্থতার পর ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য এতোটাই পড়ে গেছে যে তা ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে আর এতে বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে আরও গভীর সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা দেয় যে, তারা সুইস ব্যাংকটিতে আর অর্থ লগ্নি করবে না, আর এরপরেই ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের দর রেকর্ড চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি পড়ে যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক ধসের ঘটনার পর সৌদি ব্যাংকটিও নানা রকম সমস্যায় পড়ে।

এই অস্থিরতার কারণে সুইস শেয়ার মার্কেটে ক্রেডিট সুইসের শেয়ার বাণিজ্য ভীষণ বাধার মুখে পড়ে। পাশাপাশি অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যাংকের শেয়ারেরও দর পড়ে যায়, কোনো কোনোটির দরপতন দুই অঙ্কে গিয়ে পৌঁছায়।

যুক্তরাষ্ট্রে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের সাম্প্রতিক ধসের পর নতুন করে স্বাস্থ্য ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন শঙ্কার মুখে পড়ছে।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের দর ১.৬০ সুইস ফ্রাঙ্ক (১.৭৩ ডলার) কমে যায় যা ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সঙ্গে হিসেব করলে এই পতন ৮৫ শতাংশেরও বেশি।

গতকাল বুধবার সুইস সেন্ট্রাল ব্যাংক জানায়, ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের মূলধন ও তারল্য প্রয়োজন মতোই রয়েছে। তবে সংস্থাটি তারল্য সঙ্কট এড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানায়।

এদিকে, ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারের দরপতনের কারণে আবারও আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে ব্যাংকগুলোর সামর্থের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, তারা সুইস ব্যাংকটির সঙ্কটের দিকে দৃষ্টি রাখছে আর এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য সহযোগি সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিলকেন ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম লির মতে, সৌদি ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ক্রেডিট সুইসের গভীর সমস্যারই ইঙ্গিত দেয়। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, যা অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে সুইস ব্যাংকটি বলে মনে করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ ব্যাংগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের তদন্ত করে দেখার প্রয়োজনীয়তাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার চান্দিনা থানার অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) তাপস দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদসহ কুমিল্লা উত্তর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৭০ জনকে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার দড়ানিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখানে পুলিশি বাধায় স্থান ত্যাগ করে মহাসড়কের চান্দিনা-মুরাদনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোমতা এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানেও বাধা পেয়ে দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুটুম্বপুর-খাদঘর এলাকা থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী পদযাত্রা শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ।

এদিকে, দফায় দফায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ক্ষিপ্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ধস্তা-ধস্তি শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে। এতে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের কেউ রাবার বুলেটে, কেউ পুলিশের লাঠিচার্জে আবার কেউবা কালভার্ট থেকে লাফিয়ে পড়ে ও পদদলিত হয়ে আহত হন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বিষয়টি নিয়ে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহনের অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। ঘটনার সাথে আরও কারা জড়িত সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর