
জীবনযাত্রার ব্যয়
বাড়তে থাকায় ২০২২ সালে কেনাকাটায় লাগাম টানতে বাধ্য হয় সারা বিশ্বের মানুষ। যার প্রভাব
পড়ে অ্যাপলসহ প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। কভিডের শুরুর সময়ের তুলনায়
সম্প্রতি বিক্রিবাট্টায় সবচেয়ে বড় পতন দেখেছে স্টিভ জবসের প্রতিষ্ঠানটি।
২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আইফোন জায়ান্টের বিক্রয় ৫ শতাংশ কমেছে। এটি ছিল ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন, প্রত্যাশার চেয়েও খারাপ অবস্থা।
সম্প্রতি অনেক সংস্থা তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে সতর্ক করছে। বিশেষ করে যখন প্রযুক্তি সংস্থায় খরচ কমানোর হিড়িক পড়েছে তখনই অ্যাপলের এই খবর সামনে এল।
বিষয়টি স্বীকার করে অ্যাপলে সিইও টিম কুক জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান ‘চ্যালেঞ্জিং’ সময় পার করছে। এর জন্য কভিডের কারণের চীনের সরবরাহ ঘাটতিকে দায়ি করেন। ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি, পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মহামারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব জনিত অর্থনৈতিক মন্দাকেও চিহ্নিত করেন।
এক কনফারেন্স কলে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ব অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। অ্যাপলও এর বাইরে নয়।
অ্যাপল বলছে, সারা বিশ্বে বিক্রিতে ভাটা পড়েছে, যা তাদের বেশিরভাগ পণ্যকে প্রভাবিত করেছে। জনপ্রিয় ডিভাইস আইফোনের বিক্রি ৮ শতাংশেরও বেশি কমেছে এবং ম্যাক কম্পিউটারে কমেছে ২৯ শতাংশ।
এই মন্দা প্রতিষ্ঠানটির মুনাফায়ও প্রভাব ফেলেছে, ১৩ শতাংশ কমে ৩ হাজার কোটি ডলার হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে ক্রেতাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া স্মার্টফোনের বাজারকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা ক্যানালিসের মতে, বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন সরবরাহ গত বছর ১২ শতাংশ কমেছে।
তবে অ্যাপলের নির্বাহীরা আশা করছেন, অ্যাপল পে বা অ্যাপল নিউজের মতো পরিষেবায় প্রবৃদ্ধি ঘটবে। এখন সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি সক্রিয় অ্যাপল ডিভাইস রয়েছে।