কপালে টিপ পরার কারণে রাস্তায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে অভিযোগ দায়েরের ৩৫ ঘণ্টা পর হেনস্তাকারী অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশ।
হেনস্তাকারী
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম নাজমুল তারেক। তিনি কনস্টেবল পদে প্রোটেকশন বিভাগের দায়িত্ব
পালন করছিলেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ
করে নাজমুলকে শনাক্ত করা হয়। আজ সোমবার সকালেই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ
শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর আগে গত শনিবার
তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার পুলিশের
পোশাক পরা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা
হয়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বাসা থেকে রিকশাযোগে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা
হলের সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে তিনি কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন।
তখন সেজান পয়েন্টের সামনে একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি মোটরবাইকের ওপর বসে ছিলেন।
বাইকের নম্বর ১৩৩৯৭০। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর কপালে টিপ পরা নিয়ে ওই ব্যক্তি কটূক্তি
করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।
অভিযোগে আরও
উল্লেখ করা হয়, লতা সমাদ্দার পেছন ফিরে গিয়ে এমন আচরণের প্রতিবাদ করায় ওই পুলিশ সদস্য
আবারও গালিগালাজ করেন। পরে মোটরসাইকেল চালু করে তাঁর গায়ের ওপর চালিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের
চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি সরে গেলেও শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।