শুক্রবার (০৮
জুলাই) সকালের দিকে কিয়োতোর নিকটবর্তী নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য দেওয়ার
সময় গুলিবিদ্ধ হন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (৬৭)। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে
হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শিনজো আবের মরদেহ
টোকিওর নিজ বাড়িতে আনা হয়েছে। আজ শনিবার (০৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে
বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে
বলা হয়, মরদেহ যখন টোকিওর নিজ বাড়িতে আনা হয় তখন তাঁর দল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক
পার্টির (এলডিপি) নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা স্থানীয়
সময় বিকেলে শিনজো আবের বাড়িতে যাবেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো
জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
শিনজো আবেকে হত্যার
ঘটনায় ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। হামলাকারীর
বরাত দিয়ে জাপানের পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তবে ‘নির্দিষ্ট সংগঠনের’ বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে। শিনজো আবেকে
হত্যার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। হাতে তৈরি বন্দুকে শিনজো আবেকে গুলি করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে
বলা হয়, হত্যাকারী ট্রেনে চড়ে নারায় আসেন। তবে তিনি কখন নারায় এসেছেন এ বিষয়ে জানাতে
পারেনি পুলিশ। এ হত্যার তদন্তে ৯০ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। হত্যাকারীর বাড়িতে
একাধিক হাতে তৈরি বন্দুক পাওয়া গেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শিনজো আবে নিহতের ঘটনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নিন্দা জানিয়ে বলেছেন,
এটি একটি বর্বর হামলা। এটি সহ্য করার মতো নয়। এটি একেবারেই ক্ষমার অযোগ্য।’
উল্লেখ্য, জাপানের
ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী
হন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে
তিনি দ্বিতীয়বার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ
করেন। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে
তাঁর।
শিনজো আবে জাপানের
প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তাঁর বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আবে তাঁর
সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক
বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।