Logo
শিরোনাম

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দুই পোশাক শ্রমিকের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলের বসুগাঁও এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী-ভৈরব রেল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মিলন মিয়া (১৯) ও ঝর্ণা আক্তার (২২)। মিলন মিয়া নৈপাড়া এলাকার প্রাইম সুয়েটার লিমিটেড নামক পোশাক কারখানায় 'সহকারী অপারেটর' হিসেবে এবং ঝর্ণা আক্তার শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন। তারা পূবাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এদিকে প্রাইম সুয়েটার লিমিটেডের এডমিন মাহবুবর রহমান উজ্জ্বল ট্রেনে কাটা পড়া দুই শ্রমিক তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর কাছে ময়মনসিংহবাসীর একগুচ্ছ দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চার বছর পর আবার ময়মনসিংহে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজ শনিবার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমন ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে অপরূপ সাজে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য তোরণ। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন ময়মনসিংহবাসী।

জানা যায়, জেলার সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিকনেতাদের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

এরই মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ ২৩ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম বলেন, আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে সকাল-বিকাল দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা; যাতে প্রতিদিন সকালে উভয় দিকের মানুষ অফিস করে বাড়ি ফিরতে পারেন। ময়মনসিংহ নগরীর ভেতর থেকে রেললাইন স্থানান্তর, শেরপুর জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করা, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এসকে হাসপাতালকে ৫শ বেডবিশিষ্ট ইনফেকসিয়াস হাসপাতালে রূপান্তর, নারী উদ্যোক্তা পল্লী অথবা ব্যবসায়ী জোন গড়ে তোলা, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর স্থাপনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কাজ দ্রুত শুরু করা এবং কাজের সমাপ্তির তারিখ ঘোষণা করা। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করা, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আরও একাধিক সেতু নির্মাণ, বিভাগীয় শহরের সঙ্গে জেলাগুলোর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা। ময়মনসিংহ বিভাগের স্থলবন্দরগুলোকে ইমিগ্রেশন সুবিধা দিয়ে পরিপূর্ণ স্থলবন্দরে উন্নীত করা।

এদিকে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ময়মনসিংহে এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ হাসপাতালে গাজীপুর, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা, সিরাজগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার রোগীরা চিকিৎসা নেন। তাই জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন প্রয়োজন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সংবাদ সম্মেলন করে ১৮ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে জন উদ্যোগ নামে আরেকটি সামাজিক সংগঠন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। জন উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনার সঙ্গে আমরা ১৮টি প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলো জনগণের প্রাণের দাবি।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ চার বছর পর আবার প্রিয় নেত্রীর আগমনে উৎসাহ-উদ্দীপনার যেন শেষ নেই ময়মনসিংহবাসীর। সবার দৃষ্টি এখন ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে। তাদের আশা, আজ প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ময়মনসিংহবাসীর বেশির ভাগ দাবি পূরণের ঘোষণা দেবেন।


আরও খবর



ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



৭৫ বছরের বৃদ্ধের কিডনি থেকে ৩০০ পাথর অপসারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বেশ কয়েক মাস ধরেই ভারতের তেলেঙ্গানার কৃষক এম রাম রেড্ডির পেটের পেছনের অংশে অস্বস্তি হচ্ছিল। কোনো কূলকিনারা না পেয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন ৭৫ বছর বয়সী এ কৃষক। এরপর তার সিটি স্ক্যান করানো হয়। এতে যা ধরা পড়ে, তাতে যে কারও চোখ কপালে উঠবে! রিপোর্টে দেখা যায়, তার ডান কিডনিতে রয়েছে ৭ সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় পাথর। তবে চিকিৎসকদের সুনিপুণ দক্ষতায় যা পরে ৩০০ টুকরো করে বের করা হয়।

ডা. মোহাম্মদ তায়েফ বেনদিগেরি বলেন, যখন সাধারণত রোগীদের কিডনিতে ৭ থেকে ১৫ মিলিমিটারের পাথর দেখা যায়। কিন্তু ৭ সেন্টিমিটারের বড় পাথর অনেক বড় এবং রোগীর জন্য ব্যথাদায়কও। তাই পাথরটিকে ৩০০ টুকরো করে বের করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরদিনই ওই ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে ভারতের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজিতে। দলের নেতৃত্ব দেন ডা. সি মল্লিকার্জুন।


আরও খবর



অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ব্যাংকটির বিভিন্ন বুথের এটিএম মেশিনে টাকা রাখতে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়ি। তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিকিউরিটি কোম্পানির একটি গাড়িতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ওই ব্যাংকের সাভার ইপিজেড বুথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ব্রিজের পাশে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সে টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ শুরু করেছি।


আরও খবর

যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23




বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ ছয়ে ঢাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন বেলা সাড়ে ৮টার দিকে ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এদিন ১৯৯ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৯৬ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬৮ নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৫৯ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৫৬ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৫৬ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫১ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর বা খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর