Logo
শিরোনাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন নয়: ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে নামনো হবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ। এ দেশের মানুষ আপনাদের আর চায় না। মানুষ শান্তিতে নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখনো ভোটের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এটা দুঃজনক।

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এতো সমাবেশ হল সরকার কি বন্ধ করতে পারলো। ঢাকার সমাবেশও সরকার বন্ধ করতে পারবে না। এটা বিএনপির আন্দোলন নয়, বাংলার মানুষের আন্দোলন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এ সরকার রিজার্ভ চিবিয়ে খেয়েছে। আগামী তিন মাসের আমদানি-রপ্তানির জন্য ডলার নেই। এতো রিজার্ভ কোথায় গেল?

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, মানুষের কোনো আয় নেই। অথচ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আয় আছে। চাঁদাবাজি, দলীয়করণ করে তারা আয় করছেন। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে তারা শূন্য করে ফেলছে। গায়েবি মামলা দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া প্রমুখ।


আরও খবর



ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে যেন শিশুদের নিয়ে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় সে কারণে অভিভাবকদের জন্য অভিভাবকদের জন্য চারটি নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আর তাই ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো

১. পরিচিতিমূলক ব্রেসলেট: উমরাহর সময় প্রত্যেক শিশুর ডান অথবা বাঁ-হাতের কবজিতে অবশ্যই পরিচিতিমূলক ব্রেসলেট থাকতে হবে। লাখ লাখ ওমরাহযাত্রীর ভিড়ে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে তার পরিচিতি সম্পর্কিত প্রাথমিক কিছু তথ্য পাওয়া যাবে সেই ব্রেসলেটে।

২. যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা: যেসব ওমরাহযাত্রী তাদের শিশুদের নিয়ে ওমরায় এসেছেন, তাদেরকে ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য ভিড় কম হয়- এমন সময় ও স্থান বেছে নিতে বলা হয়েছে।

৩. শিশুদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: শিশুদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে অভিভাবকদের যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবকদের।

৪. শিশুদের খাদ্যের প্রতি নজর রাখা : ওমরাহর সময় শিশুরা যেন স্বাস্থ্যকর ও তাদের শরীরের জন্য উপযোগী খাদ্য গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

এর আগে, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় মক্কা গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনকালে মুসল্লিদের জন্য পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছিল।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




ভারী বর্ষণের আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ বৃষ্টির প্রবণতা আগামী দু-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টির হয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। চট্টগ্রাম ও খুলনার কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টিও হয়নি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে। ঢাকায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদ ছিল। তবে সাড়ে ১১টার দিকে ঘণ মেঘে ঢাকার আকাশ ঢেকে গেছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এরও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চাঁদপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষি বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪ কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। দাম বাড়ার চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি এখন প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে দেশবাসীর কাছে।

নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া।

একই প্রতিবেদনে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এর আগে বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশ হয়েছে ২০১৬ সালে যা ছিল ৯ শতাংশ।


আরও খবর



এদেশে জন্ম নেওয়া কেউই সংখ্যালঘু নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৯৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।

সরকারপ্রধান বলেন,  যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, এখানে ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে সরকার বিশ্বাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের মাটি আজ ধন্য হয়েছে। যারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, তারা সবাই এই মাটিরই সন্তান ও নাগরিক। এই মাটির ওপরই আপনাদের অধিকার। কেন সংখ্যালঘু বলেন নিজেদের?

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে, মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবাই প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।


আরও খবর