ভূমিকম্প ও
ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল থামছেই না। সময়ের
সঙ্গে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
আল জাজিরা। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ৯৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স এবং স্বেচ্ছাসেবী দল হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, দেশটির
বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে দুই হাজার ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সরকার নিয়ন্ত্রিত
এলাকায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২৪০ বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
দুই দেশেই ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। বর্তমানে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের
বাঁচাতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও উদ্ধারকর্মীরা। তবে সময়ের সঙ্গে
জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমশ কমে আসছে।
ত্রাণ ও পুনরুদ্ধার
সহায়তার জন্য তুরস্ককে ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
আন্তর্জাতিক
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুরস্কে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা,
বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের
অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের
ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত
৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির
ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপর দফায় দফায় আরও কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কে।
প্রসঙ্গত, তুরস্ক-সিরিয়ার
সীমান্তবর্তী এলাকা বরাবরই ভূমিকম্প প্রবণ।