Logo
শিরোনাম

উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে সিঙ্গাপুরে খুচরা বিক্রির গতি মন্থর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২০০৮ সালের পর গত জুনে সিঙ্গাপুরে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ চূড়া ছুঁয়েছে। এ কারণে দেশটির খুচরা বিক্রির গতিও মন্থর হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরা বিষয়টি আমলে নিয়ে সতর্ক করে বলছেন, আগামী মাসগুলোয় নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।  দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের (সিং স্ট্যাট) দেয়া তথ্য অনুসারে, জুনে বছরওয়ারি হিসেবে খুচরা বিক্রি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে মে মাসের এ বাড়ার গতি ছিল ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

পরিসংখ্যানটি বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। যেখানে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছিলেন, বিক্রি বাড়বে ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে যানবাহন বাদ দিলে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। মে মাসের সঙ্গে তুলনা করলে জুনে খুচরা বিক্রি ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। অনেকগুলো বিভাগে মাসভিত্তিক বিক্রি কমেছে। এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন বেশি দামের অনেক পণ্য রয়েছে। যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি সরঞ্জাম ও বিনোদনের সামগ্রী।

ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান আরএইচবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নাবাস গান বলেছেন, বছরওয়ারি খুচরা বিক্রির বৃদ্ধি ওপর থেকে ভালো খবর মনে হয়। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, বিক্রি বাড়ার হার সংকুচিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে ভোক্তা চাহিদা কমছে। ব্যাংকটির ধারণা, খুচরা বিক্রির গতি বছরের দ্বিতীয়ার্থে আরো মন্থর হবে এবং শেষ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির কারণে সংকোচনের মধ্যে পড়বে। পূর্বাভাস অনুসারে, খুচরা বিক্রি চলতি ২০২২ সালে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে, ২০২১ সালে যা ১১ দশক ১ শতাংশ বেড়েছিল। মাসওয়ারি হিসেবে টানা তিন মাস পর খুচরা বিক্রি নিম্নমুখী হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ওসিবিসি ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ট্রেজারি রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি প্রধান সেলেনা লিং বলেন, ভোক্তারা ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক আশঙ্কায় আরো বেশি সতর্ক হতে শুরু করেছেন।

এক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতির পাশাপাশি আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেন ইউওবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অ্যালভিন লিউ। তার মতে, জুনে অনেক পরিবার বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছে, যার কারণে ব্যয় করেছে কম। তিনি মনে করেন, সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় ফর্মুলা ওয়ান নাইট রেসের মতো আয়োজন খুচরা বিক্রিতে একটা গতি আনতে পারে। গত বছরের তুলনায় সামনের মাসগুলোয় বিক্রি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষত জ্বালানি ও খাদ্য কিনতে বেশি খরচ হতে পারে, যা পরিবারগুলোর বেশির ভাগ আয় খেয়ে ফেলবে ও তারা অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন খরচ কমাবে।  বছরওয়ারি হিসেবে জুনে খুচরা বিক্রি বৃদ্ধির কারণ গত বছরের একই সময়ে বিক্রি আরো কম ছিল। তখন নভেল করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের মতো নানা ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে বছরওয়ারি হিসেবে মে মাসে ১৪টি ক্যাটাগরির মধ্যে সাতটির বিক্রি ধীর ছিল। অন্যদিকে জুনে আগের বছরের চেয়ে চারটি ক্যাটাগরিতে বিক্রি কমেছে।

চলতি বছর সুপারমার্কেট ও হাইপারমার্কেটে বিক্রি কমেছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে মিনিমার্ট ও অন্যান্য দোকানে কমার হার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২১ সালের জুনে করোনাজনিত বাড়িতে থাকা বা বাড়ি থেকে কাজের কারণে মুদির চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। এ বছর মোটরগাড়ির বিক্রি কমেছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আসবাব ও গৃহস্থালি সরঞ্জামের পতন দশমিক ৪ শতাংশ। পোশাক ও জুতার বিক্রি বেড়েছে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আগের মাসে এটি ছিল ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ। জুনে ডিপার্টমেন্ট স্টোরে বিক্রি বাড়ে ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ, মে মাসে ছিল ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ। মে মাসে ঘড়ি ও অলংকারের বিক্রি বেড়েছিল ৬০ দশমিক ১ শতাংশ, জুনে বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বছরওয়ারি হিসেবে জুনে খাদ্য ও পানীয় সেবার বিক্রি বাড়ে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ, আগের মাসে এ বৃদ্ধি ছিল ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে জুনে আনুমানিক মোট খুচরা বিক্রি ছিল ৩৮০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে অনলাইনে অর্ডার করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ।

নিউজ ট্যাগ: সিঙ্গাপুর

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর