শুরু হচ্ছে
শারদীয় দুর্গোৎসব। মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। পূজায় মন ভরে সাজতে কোনো বাধা
নেই। উৎসবের দিনে না সাজলে আর কখন সাজবেন। সুন্দর পোশাক পরে, নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে
তুলতে কে না চায়! সাজের ক্ষেত্রে নারীরা বরাবরই এগিয়ে। পূজার সময় তাদের সাজে ঐতিহ্যের
সঙ্গে যোগ হয় হালের ট্রেন্ডও। যেমন পোশাকে লাল-সাদার পাশাপাশি যুক্ত হয় আরও অনেক মন
মাতানো রং। মাকে সাজাতে যেমন প্রতিমাশিল্পীদের পলক ফেলার সময় নেই, তেমনি পূজার এই দিনগুলোতে
নিজেদের সাজাতে মার্কেটে ঘুরে ঘুরে ছক কষছেন ভক্তরা। আর এই দুর্গাপূজা সামনে রেখে কেমন
হতে পারে আপনার সাজ, আসুন জেনে নেওয়া যাক পূজার দিনগুলোতে সাজ কেমন হবে-
সপ্তমীর সাজ
সপ্তমীর সাজেও
নিজেকে রাখুন সজীব ও স্নিগ্ধ। এ সময় সুতির পোশাক বেছে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই হালকা মেকআপ করুন। ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ট্যান্সলুসেন্ট পাউডার
কিংবা বিবি ক্রিম ব্যবহার করুন। ঠোঁটে থাকুক হালকা রঙের লিপস্টিক। রাতের সাজে চোখে
আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। চুলে বাঁধতে পারেন খোঁপা।
অষ্টমীর সাজ
অষ্টমীর সাজে
নিজেকে একটু জমকালো করে তুলতেই পারেন। এই দিন সিল্ক, কাতান কিংবা বেনারসি শাড়ি জড়িয়ে
নিতে পারেন অনায়াসে। দিনের সাজ হালকাই থাকুক, রাতে হলে একটু ভারী সাজতে পারেন। পোশাকের
রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা উল্টো রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে চুল খোলা
রাখতে পারেন, যদি অস্বস্তি না হয়। কপালে পরতে পারেন টিপ।
নবমীর সাজ
এই দিনের সাজ
সবচেয়ে বেশি জমকালো হয়। নবমীর দিনও অষ্টমীর মতো সিল্ক, কাতান ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন।
অথবা জামদানিও পরতে পারেন। শাড়িই হতে হবে কথা নেই, আপনি যে পোশাকে স্বাচ্ছন্দ, সেটিই
পরুন। আর সাজ নাহয় নিজের পছন্দমতোই বেছে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, দেখতে যেন বেমানান
না লাগে।
ঐতিহ্যের সাজে দশমী
দশমীর দিন লাল-সাদা
রংটাই বেশি প্রাধান্য পায় পোশাকের ক্ষেত্রে। তবে এই রঙের বাইরে পরা যাবে না, এমন নয়।
সাজ হালকা হতে পারে কিংবা জমকালো- কোনো বাধা নেই। এই দিন চোখের সাজে আরেকটু মনোযোগী
হতে পারেন। সবটুকু মায়া যেন ভর করে আপনার চোখেই। মোটা করে কাজল, মাশকারা, আইলাইনার
পড়তে পারেন। চোখে দিতে পারেন স্মোকি লুক। গালে হালকা ব্লাশন টানুন, ঠোঁটে পরুন লিপস্টিক।
চোখের সাজ ভারী হলে ঠোঁটের সাজ হালকা থাকাই ভালো।