প্রায় ৮ বছর আগে
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় একই রুমে থাকতেন রুহুল কুদ্দুস বাবু (৩৫)
ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরান (৪২)। তখন পাশের ফ্ল্যাটের ভাবি মো. মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী
ইয়াসমিন আক্তারের (৩৫) প্রতি গ্রেপ্তারকৃত পরানের কুদৃষ্টি পড়ে, ভাবী প্রেমের পড়ে
যান তিনি। এতে বাধা দেয় তারই রুমমেট রুহুল কুদ্দুস বাবু। সেই বাধাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েসহ
৩ জনকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরতর জখম করে জাহাঙ্গীর আলম পরান।
আজ মঙ্গলবার
(১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এসব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
র্যাব বলছে,
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শনির আখড়ায় একটি বাড়িতে ঢুকে রুহুল কুদ্দুস বাবু, মাসুদ কিবরিয়ার
স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার এবং তার মেয়ে মাহামুদা মেহেররিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে
পরান। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রুহুল কুদ্দুস বাবুর বড় বোন বিউটি
বেগম।
গতকাল সোমবার
(১৫ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের সানারপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে
তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
র্যাব-১০ এর
অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় ৭-৮
বছর আগে একই রুমে থাকতেন আহত রুহুল কুদ্দুস বাবু ও গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরান।
তখন পাশের ফ্লাটের ভাবি মো. মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের (৩৫) প্রতি গ্রেপ্তারকৃত
পরানের কুদৃষ্টি পড়ে, এতে বাধা দেয় রুহুল কুদ্দুস বাবু।
তিনি বলেন, এ
কারণে পরানকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয় বাড়ির মালিক। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরান বিভিন্ন
সময় বিভিন্নভাবে ইয়াসমিন আক্তার ও তার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। আবারও বাধা
হয়ে দাড়ায় রুহুল কুদ্দুস বাবু। এর জের ধরে পরান গত রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়
পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতিসহ বাবুর বাসায় যায়।
র্যাব-১০ এর
অধিনায়ক বলেন, রুহুল কুদ্দুস বাবু দরজা খুলতেই পরান বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি
দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবুর মুখে, কানে, চোখের উপরে, মাথায়, ঘাড়ে ও ডান হাতের
তালুতে গুরুতর জখম করে। বাবুর আর্তচিৎকার শুনে ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে মাহামুদা
মেহেরিন বাবুকে বাঁচাতে এলে পরান প্রথমে মেয়ে মাহামুদাকে তার ডান হাতে ও পরে ইয়াসমিন
আক্তারের মাথায় গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।