Logo
শিরোনাম

ভালোবাসা দিবস নিয়ে পরীক্ষায় প্রশ্ন, সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১১১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভালবাসা দিবসের ফুল নিয়ে প্রশ্ন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। প্রশ্নের ২৫ নম্বর ক্রমিকের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নটি ছিল:-

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে নিচের কোন ফুলটির চাহিদা বেশি

(ক) রজনীগন্ধা (খ) গোলাপ (গ) ডালিয়া (ঘ) চন্দ্রমল্লিকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই পরীক্ষায় এমন প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক বিকাশ মন্ডল বলেন, বিশ্ব ভালবাসা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃত একটা দিবস। এটা নিয়ে প্রশ্ন করা দোষের কিছু নেই।

কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জীত কুমার সাহা বলেন, এ বিষয় শিক্ষকদের মধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কৃষি শিক্ষকের কাছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২৭ মার্চ

সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩




‘গুলশানের ওই ভবনে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর গুলশানে আগুন লাগা বহুতল আবাসিক ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না বলে জানিয়েছেন অগ্নিকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভবনটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান ।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ভবনটির কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। সেফটি প্ল্যান নেওয়ার কথা থাকলেও, নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ভবনটি অত্যাধুনিক হলেও এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। ভবনটিতে গ্যাসের পয়েন্ট, বিদ্যুতের পয়েন্ট ও দাহ্য পদার্থ সবকিছু বেশ কাছাকাছি ছিল। কোনটা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ২২ জনকে উদ্ধার করি। বারবার নিষেধ করেছি কেউ যেন লাফ না দেন। যে দুজন মারা গেছেন তারা লাফ দেওয়ার কারণেই মারা গেছেন। এটা আসলে তাদেরও দোষ না। পরিস্থিতির কারণে তারা হয়তো লাফ দিয়েছেন।

এসময় তদন্ত কমটির সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স), গুলশান জোনের উপসহকারী পরিচালক এবং স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গুলশানে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। এতে ২ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


আরও খবর

যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23




গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজীপুর পৌঁছানোর পর সেখানে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টার পর শেখ হাসিনা গাজীপুরে পৌঁছান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পাঁচটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা সদস্য ছাড়াও নারী-শিশুসহ ৭৪ জন। তাদের স্মরণে আজ শাহাদাতবার্ষিকী পালন করবে বিজিবি। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

এ ট্র্যাজেডির পর দীর্ঘ সময়ে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয়েছে।  হাইকোর্টের রায়ে পিলখানায় হত্যার দায়ে অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ বহাল রেখেছে। একইসঙ্গে  ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আপিল বিভাগে শুনানি হবে বলে জানা গেছে। তবে বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলা এখনো ঝুলছে। রাষ্ট্রপক্ষের এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। 

২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী  সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের স্মরণে আজ শনিবার  শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে।    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)   জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম, পিবিজিএমএস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  জানিয়েছেন, শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সকল স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সকল সদস্য কালোব্যাজ পরিধান করবেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাস্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) এবং শহীদদের নিকটাত্মীয়গণ স্মৃতিস্তম্ভে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল ) এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, বহুল আলোচিত ও নৃশংসতম পিলখানা হত্যা মামলার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল শুনানি চলতি বছরেই শুরু হতে পারে। আপিল বিভাগ যেদিন শুনানি শুরু করবে সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি শুরু হবে। আমরা আদালতকে শুনানির আর্জি জানাতে পারব। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে অগ্রাধিকার  ভিত্তিতে এই শুনানি হতে পারে।

পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলা ১৩ বছর পরও সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম এই হত্যাযজ্ঞে বিস্ফোরক আইনে করা অন্য মামলার বিচার এখনো বিচারিক আদালতেই শেষ হয়নি। আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তর পিলখানা হত্যা মামলা। নিয়মিত যে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আছে সেখানেই এর বিচার হবে।

এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জনকন্ঠকে বলেছেন, আমরা সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।  আমরা এক মাসের  মধ্যে সারসংক্ষেপ দিয়ে দেব।  এরপর আপিল শুনানির জন্য রেডি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে রায় হলেও নিম্ন আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলাটি ঝুলে রয়েছে। সেখানে ১২৬৪ সাক্ষীর মধ্যে ২৫৭ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের এক মামলার বিচারের দুই ধাপ শেষ হয়েছে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে। রায় কার্যকর করতে হলে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, শেষ ধাপটি চলতি বছরই হতে পারে। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিডিআর হত্যা  মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। রায়ে মৃত্যুদন্ডসহ ৫৫২ জনকে বিভিন্ন ধরনের দন্ড প্রদান করা হয়েছে।  মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নবেম্বর দুদিন ধরে এ রায়টি প্রদান করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে শেষ হয়। বেঞ্চের অন্য দুই জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি  মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তান্ডব চালায় পিলখানায়। ওই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। হত্যা মামলার সঙ্গে এ মামলার  বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝ পথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।   যে কারণে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ছয় জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে এবং এই অতর্কিত হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়টি এক বিৃতিতে জানায় আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং রকেট হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামরিক যান ও হেলিকপ্টার নিয়ে শহরটিতে প্রবেশ করছে।খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের হাতে নিহত একজন ফিলিস্তিনি গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের হুয়োরা গ্রামে কাছে একটি অবৈধ বসতিতে দুই ভাইকে গুলি করার সঙ্গে জড়িত ছিল।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়, সৈন্যরা পশ্চিম তীরে দুইজন ইসরায়েলি বসতি স্থপনকারীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত বন্দুকধারীকে নির্মূল করেছে।

এদিকে, রামাল্লাহ থেকে আলজাজিরা জানায়, দক্ষীণাঞ্চলীয় নাবলুস এলাকায় ইসরায়েলি সৈন্যরা গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলা করে। ইসরায়েলি সেনারা আশকার শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ও তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায় যাদের মধ্যে জেনিনে নিহত ৪৯ বছর বয়স্ক ব্যক্তির দুই ছেলে রয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল রুদেইনে বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানান, রকেট নিয়ে মঙ্গলবার চালানো এই হামলা সর্বাত্মক যুদ্ধ। রুদেইনে পরিস্থিতিকে উস্কে দেওয়ার জন্য ও তা বিপজ্জনক মাত্রার দিকে মোড় ঘোরাতে এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে নেওয়া সব উদ্যোগ ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল সরকারকে দায়ী করেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দুপক্ষের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এ বছরও লাখো মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করল নড়াইলবাসী। একই সাথে ভাষাদিবসের ৭২তম বার্ষিকীতে ৭২টি ফানুষ ওড়ানো হয়।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কুরিরডোব মাঠে একুশ আলো উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী এ স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নড়াইলের পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরমেয়র আনজুমান আরা, উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলয় কুণ্ডু, আব্দুর রশিদ মন্নুসহ অনেকে।

সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে সূর্য ডুবে অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক শ স্বেচ্ছাসেবক মোমবাতি জ্বালানোর কাজে নেমে পড়েন। ধীরে ধীরে কুড়িডোবের বিশাল মাঠ অন্ধকারকে ভেদ করে মোমবাতির আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে। মোমবাতির আলোয় শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা ভেসে ওঠে। সাথে সাথে মঞ্চ থেকে সববেত কণ্ঠে ভেসে ওঠে 'আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'-সহ ঘণ্টাব্যাপী গণসংগীত। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ নড়াইলের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ ব্যতিক্রমী এ আয়োজন শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১ মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপাশে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন।


আরও খবর