সাভারের আশুলিয়ায়
ভাড়ার টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় যাত্রীর মারধরে আরিফ হোসেন (২৬) নামে এক বাসচালকের মৃত্যুর
অভিযোগ উঠেছে। মৃত আরিফ হোসেনের গ্রামের বাড়ি শেরপুরে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায়। তিনি
কিরণমালা পরিবহনের চালক। গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বাস চালাতেন আরিফ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নরসিংহপুরের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বাসের হেলপার
খোকন মিয়া জানান, তাদের বাসটি গাজীপুর থেকে রাজধানীর মিরপুর চলাচল করে। বিকেলে কোনাবাড়ী
থেকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর যাওয়ার উদ্দেশে এক যাত্রী বাসে ওঠেন। অনেকবার ভাড়া চাইলেও
ওই যাত্রী পরে দেবেন বলে জানান। পরে তার গন্তব্য নরসিংহপুরের নিশ্চিন্তপুর ইটখোলা এলাকা
পৌঁছালে ভাড়া না দিয়েই বাস থেকে নেমে যান ওই যাত্রী। এসময় চালক আরিফ ও আমার সঙ্গে তার
বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই যাত্রী সড়ক থেকে ইট নিয়ে বাসে ঢিল ছোড়ার চেষ্টা করলে
চালক আরিফ বাধা দেন।
তিনি বলেন, এতে
ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যাত্রী চালক আরিফকে মারধর শুরু করেন। এসময় সড়কে থাকা উৎসুক বেশ কয়েকজনও
হঠাৎ ওই যাত্রীর সঙ্গে আরিফকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে আরিফকে
দ্রুত স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ততক্ষণে ওই যাত্রীসহ
মারধরকারী বাকি লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে সন্ধ্যায় চিকিৎসক আরিফকে
মৃত ঘোষণা করেন।
আশুলিয়া থানার
উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, নারী ও শিশু হাসপাতাল থেকে আমাদের খবর দেওয়া
হয়। সেখান থেকে মারধরে নিহত এক বাসচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে
এক যাত্রীর সঙ্গে বাসের ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে পিটুনিতে চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে
জেনেছি। অজ্ঞাত এক যাত্রী ও আশেপাশের লোকজন ওই চালককে মারধর করেছে বলেও জানা গেছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায়
একটি হত্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসআই
আল মামুন।