Logo
শিরোনাম

ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মাত্র এক বছরের মধ্যে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০ শতাংশ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকভ মস্কোয় এক সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উশাকভ বলেন, আমাদের (রাশিয়া-ভারত) সম্পর্ক দিন দিন সক্রিয়ভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে। রাশিয়ার তেল, কয়লা ও সারের ব্যাপক চাহিদা আছে ভারতে। ফলে এই তিন পণ্যের আমদানিও বৃদ্ধি করেছে ভারত। চলতি বছর এই আমদানি ১২০ শতাংশ বেড়েছে, এই হার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

পণ্য আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি দুই দেশের জাতীয় মুদ্রা রুপি ও রুবলের বিনিময় হার কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে বর্তমানে দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছেন উল্লেখ করে উশাকভ বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করতেই জাতীয় মুদ্রার বিনিময় হার বাড়ানো প্রয়োজন। গত মাসে রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুরও ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ব্যাপারটি উল্লেখ করেছিলেন। গতানুগতিক আমদানি-রপ্তানির বাইরে দুই দেশের বাণিজ্যেকে আরও বৃদ্ধি করতে নতুন বিভিন্ন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

দুই দেশের আন্তব্যাংক অর্থ লেনদেনের জন্য রুশ পেমেন্ট সিস্টেম মির ও ভারতীয় পেমেন্ট সিস্টেম রুপেয়র পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযানের শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর একরাশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও কয়লাও।

এদিকে করোনা মহামারির দুই বছর পেরোনোর পর দেশে দেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও শিল্পোৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে বাড়ছিল তেলের চাহিদা, সেই সঙ্গে মূল্যও। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে থাক আরও দ্রুতগতিতে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর রাশিয়া নিজের বন্ধুপ্রতীম বিভিন্ন দেশকে হ্রাসকৃত মূল্যে জ্বালানি তেলে কেনার প্রস্তাব দেয়। এই তালিকায় সবার আগে ছিল চীন-ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত ছয় মাসে এ দুটি দেশ রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনেছে এবং এখনও কিনছে।

সরকারের জিরো কোভিড নীতির কারণে চীন সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কেনা কমিয়ে দিলেও গত ছয় মাসে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও কয়লা কিনেছে ভারত এবং এখনও কিনছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্র ভারতের এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার তেল কেনা থেকে বিরত রাখতে ভারতকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিচ্ছেন পশ্চিমা নেতারা। রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের জ্বালানি তেল বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী সম্প্রতি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপেীয় মিত্রদের চাপের কারণে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা ভারতের নেই।

গত ০৮ সেপ্টেম্বর এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, আমাদের হিসেব স্পষ্ট; ভারতের জনগণ, যারা ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের নির্বাচন করেছেন জ্বালানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে তারা ভোগান্তিতে পরবেন। আর সেই ভোগান্তি কত ভয়াবহ হতে পারে, আমাদের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের দিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়। জনগণের স্বার্থকেই আমরা সবার আগে বিবেচনা করব। এই কারণে রাশিয়া থেকে তেল কেনা আমরা বন্ধ করছি না। যদি অন্য কোনো দেশ রাশিয়ার থেকেও কম দামে তেল বিক্রি করেতে চায়, সেক্ষেত্রে আমরা ব্যাপারটি ভেবে দেখতে পারি।

নিউজ ট্যাগ: ভ্লাদিমির পুতিন

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর