ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি গ্রামে গণহারে
আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই দিনে ‘আত্মহত্যা’ করেছে এক পরিবারের
৯ সদস্য। তাদের সবার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, বিষক্রিয়ার
ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) সকালে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের
সাংলি জেলার একটি গ্রামে এক বাড়ি থেকে ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক
অনুমান, ৯ জনই একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে।
সাংলির এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা
একটি বাড়ি থেকে নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তিনটি মৃতদেহ এক জায়গায় পাওয়া যায়।
আর ছয়টি বাড়ির অন্যান্য জায়গায় পাওয়া গেছে।
পুলিশের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে,
দুই ভাই পাশাপাশি দুটি বাড়িতে তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। দুই ভাইয়ের একজনের নাম মানিক
ও অপরজন পপট ইয়ালাপ্পা।
মানিক পেশায় পশু চিকিৎসক। তার বাড়িতে
তার মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আর পপটের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানের
মৃতদেহ পাওয়া যায়। উদ্ধারের নয়টি মরদেহও ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ।
এদিন সকাল থেকে দুই বাড়ির কেউ দরজা খোলেনি।
এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারা দরজায় ধাক্কা দেয়। কিন্তু তারপরেও কেউ দরজা খোলে
না। তখন তারা দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে।
প্রতিবেশীরা জানান, ওই দুই ভাই আর্থিক
অনটনের মধ্যদিয়ে দিন পার করছিলেন। গ্রামের অনেকের কাছ থেকে তার ধার করেছিলেন। পাশাপাশি
তারা আত্মীয়দের থেকেও ঋণ করেছিলেন।
এখন থেকে পাঁচ বছর আগে মুম্বাই থেকে ৩৫০
কিলোমিটার দূরে এই সাংলি জেলা আরও একবার শিরোনামে উঠে এসেছিল। গর্ভপাতের পরে এক নারীর
মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে ১৯টি ভ্রূণ খুঁজে পায় পুলিশ। এ খবর প্রকাশিত
হওয়ার পর ভারতজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়।
কর্ণাটকের সীমান্তে এই সাংলি জেলা অবস্থিত।
এখানেই এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নির্বিচারে ভ্রূণ হত্যা করতেন। ২৬ বছরের এক যুবতীর গর্ভপাতের
সময় মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করতে এসে বিশাল ব়্যাকেটের সন্ধান পায়। সেই সময় গ্রামবাসীই
এই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সন্ধান দেয়।