Logo
শিরোনাম

ভারতের সর্ববৃহৎ বস্তি আর থাকছে না

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৪২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন, আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহন, আবাসনসহ নানা খাতে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন ভারতীয় বিলিয়নিয়ার ও এই মুহূর্তে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। সমগ্র ভারতজুড়ে রয়েছে তার শিল্প সাম্রাজ্য। তবে এবার তার নজর পড়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ বস্তি ধারাভির ওপর। বস্তি উচ্ছেদ করে আধুনিক আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চলেছেন তিনি।

মুম্বাই শহরের কেন্দ্রে ৫৪০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত ধারাভি বস্তি। আর দশটা সাধারণ বস্তির মতো ধারাভি বস্তিতেও চোখে পড়বে টিন-তেরপল দিয়ে বানানো অন্ধকার খুপরি ঘর, নোংরা ড্রেন, সরু গলি, দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট। শতবর্ষী এই বস্তিতে মুম্বাই শহরের সবচেয়ে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের বসবাস। অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র স্লামডগ মিলিয়নিয়ার এর কিছু অংশের শ্যুটিং এখানে হওয়ার পর এই বস্তি বিশ্বব্যাপী আরও পরিচিতি পায়।

ভারতীয় মাল্টিন্যাশনাল কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের মালিক ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একজন সুহৃৎ হিসেবে পরিচিত গৌতম আদানি এই বস্তির জায়গায় সোশ্যাল হাউজিং ও বিলাসবহুল ভবন নির্মাণের জন্য সাত বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আদানির ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই অনুমোদন করেছে ভারত সরকার। মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন কমিশনার ও ধারাভি উন্নয়ন প্রকল্পের সিইও এসভিআর শ্রীনিবাসের ভাষ্যে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম নগর উন্নয়ন প্রকল্প।

সরকারি কার্যালয়ের নয়তলা থেকে ধারাভি বস্তির দিকে তাকিয়ে এসভিআর শ্রীনিবাস বলেন, সিনেমায় দারিদ্রকে রোমান্টিক করে তোলা (যেমনটা 'স্লামডগ মিলিয়নিয়ার' এর মতো সিনেমায় করা হয়েছে) আর বাস্তবে দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করা আলাদা জিনিস। এ প্রকল্প বস্তি-মুক্ত মুম্বাই গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ। এই মুহূর্তে এই বস্তিতে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের বিশুদ্ধ পানি নেই, টয়লেট নেই। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে এসেও মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

নতুন প্রকল্পটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বস্তির অধিবাসীদের মধ্যে। কেউ কেউ নিজেদের জীবনমান উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, বস্তি উচ্ছেদ করলে তাদের আরও বেশি ক্ষতি হবে। একটি স্কুলে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত সাইবু পুজারি (৩২) বলেন, এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। ভালো কিছু করতে চাইলে তো পুরনো কিছু ভেঙে ফেলতেই হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভবিষ্যতের কথা ভাবে না। কিন্তু বস্তির আরেক অধিবাসী, ৪৬ বছর বয়সী ধন মোহন শেঠী মনে করেন, ধারাভিতে বসবাসরতদের মধ্যে নিজস্ব একটি সহায়তা প্রক্রিয়া রয়েছে। এখানে একজন বিপদে পড়লে অন্যরা তাকে সাহায্য করে। কিন্তু আধুনিক বহুতল ভবনের ভেতরে সেই সহায়তা তারা নাও পেতে পারেন। তিনি বলেন, এখানে যদি আমরা না খেয়ে থাকি, তাহলে প্রতিবেশিরা আমাদের খাবার দেয়। এখানে আমার সন্তানদের পড়াশোনার জন্য একটা স্কুলও রয়েছে। আমাদের কাছে সবকিছু আছে। আমরা যদি এখান থেকে চলে যাই, এরপর যদি সমস্যায় পড়ি, তখন কে আমাদের সাহায্য করবে?

আবার অনেকের আশঙ্কা, সরকার যে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা কখনো বাস্তবায়িত হবে না এবং এর ফলে তাদের আরও শোচনীয় অবস্থা হবে। এমনকি ২৩ বছর বয়সী সাগর কুমার বৈশি ধারাবি বস্তি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতেই চান না। তার ভাষ্যে, আমরা বিক্রি করতে চাই না। যা হওয়ার হোক। এদিকে ভবন নির্মাণ পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত না হলেও, জানা গেছে, মোট জায়গার ৪০ শতাংশ বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন কাজে ব্যবহৃত হবে এবং বাকি ৬০ শতাংশ জায়গায় বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, বস্তির সকলেই পুনর্বাসন প্রকল্পে স্থান পাবেন না। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতি দশটি পরিবারের মধ্যে মাত্র ছয়টি পরিবার থাকার ঘর পাবে। অর্থাৎ, বস্তি উচ্ছেদ হলে শত শত পরিবারকে বাস্তুহীন হতে হবে।

বস্তিতে আবাসন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানে থাকবে যারা, তার ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হবে আদানি গ্রুপ এবং প্রধান বিনিয়োগকারী হিসেবে লাভের সিংহভাগই তাদের পকেটে যাবে। প্রকল্পের আর্থিক ও সামাজিক জটিলতার কারণে গত দুই দশক ধরে ধারাভি বস্তি উন্নয়নের প্রচেষ্টা বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে গৌতম আদানির উষ্ণ সম্পর্কের জোরেই তিনি এ প্রকল্প বাগিয়ে নিতে পেরেছেন বলে অনেকের ধারণা।

তবে মুম্বাইয়ের স্থপতিদের জন্য যে এ প্রকল্প বেশ লোভনীয় তা বলাই বাহুল্য! মুম্বাইভিত্তিক স্থপতি মুকেশ মেহতা বলেন, হাই প্রোফাইল বা গুরুত্ব বিবেচনায় এই মুহূর্তে এই প্রকল্পের চেয়ে হাইপ্রোফাইল কোনো প্রকল্প বিশ্বে নেই। এখানে শুধু টাকার বিষয়টাই মুখ্য না। এর সঙ্গে সম্মান জড়িত, এবং দরিদ্রদের সাহায্য করার বিষয়টিও জড়িত।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর