Logo
শিরোনাম

ভাটির দেশের মাটির সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৭৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের কৃষিজীবী মানুষ এবং তাঁদের জীবনসংগ্রাম নিয়ে বরাবরই আগ্রহী ছিলেন নির্মাতা মুহাম্মদ কাইউম। কৃষকের সংগ্রামী জীবনের গল্প তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। কাজের সূত্রে একসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরেছেন তিনি। দেখেছেন হাওর অঞ্চলের মানুষ দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সঙ্গে কীভাবে লড়াই করে বেঁচে থাকে। মুহাম্মদ কাইউম তাঁদের গল্প তুলে আনতে চেয়েছিলেন পর্দায়।

অনেক বছরের চেষ্টার পর তিনি সেটা পেরেছেন। বানিয়েছেন কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া। সিনেমাটি বানাতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লেগেছে কাইউমের। শুধু শুটিংই করেছেন তিন বছর ধরে। কারণ জানিয়ে নির্মাতা বলছেন, আমাদের হাওরবেষ্টিত জনপদ সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলা, ওখানে তিনটা বড় হাওর আছে, ওই হাওরজুড়ে এবং আশপাশের অঞ্চলে আমরা সিনেমাটির শুটিং করেছি। কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এ ছাড়া আমরা প্রতিটি সময় ধরে ধরে ভূ-প্রাকৃতিক যে পরিবর্তন, ঋতুর যে বৈচিত্র্য, সেটা ধরার চেষ্টা করেছি। এসব কারণেই সময় লেগেছে বেশি।

কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া সিনেমাটি বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের আবহমান জীবনসংগ্রামের আখ্যান। বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে বৈষম্য ও বঞ্চনার মাঝে কীভাবে টিকে থাকে প্রান্তিক মানুষ, তাদের গল্পই লোকজ ঐতিহ্যের আবহে দেখাতে চেয়েছেন নির্মাতা। গল্পের কেন্দ্রে আছে সুলতান নামের এক যুবক। ধান কাটার শ্রমিকদের সঙ্গে হাওরে আসে সে। কাজ নেয় এক বৃদ্ধের বাড়িতে। ধীরে ধীরে হাওরের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে সুলতান, পরিবারের সবার সঙ্গে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে যেতে থাকে। একসময় সেখানে বিয়েও করে সে। নতুন করে ঘর বাঁধে। তবে তার সুখের সংসার একদিন ভেসে যায় পাহাড়ি ঢলে।

নির্মাতা কাইউম বলেন, প্রতিবছর ছয় থেকে সাত মাস হাওর অঞ্চল পানির নিচে থাকে। ওই শুকনো মৌসুমে তাঁরা একটা মাত্র ফসল ফলান, সেটা হচ্ছে ধান। কিন্তু প্রায়ই আবার আগাম ঢল নেমে এই ধান পাকার আগেই পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে তাঁদের জীবনসংগ্রামটা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। তাঁদের নিয়ে অনেক বছর ধরেই কাজ করার ইচ্ছা ছিল।

নির্মাতা জানিয়েছেন, ৪ নভেম্বর কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া মুক্তি পাবে দেশের বিভিন্ন হলে। এর আগে ২৯ অক্টোবর শনিবার হবে বিশেষ প্রদর্শনী। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন জয়িতা মহলানবিশ, উজ্জ্বল কবির হিমু, সুমি ইসলাম, সামিয়া আকতার বৃষ্টি, বাদল শহীদ, মাহমুদ আলম ও আবুল কালাম আজাদ। চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন মাজাহারুল রাজু, সংগীত পরিচালনায় আছেন কলকাতার সাত্যকি ব্যানার্জি।


আরও খবর