টাঙ্গাইলের মধুপুরে
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামুন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত
মামুন উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অভিযোগ উঠেছে
ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে পাঁচ বছর ধরে ওই নেতা এক তরুণীকে ধর্ষণ করছিল।
এদিকে, টাঙ্গাইলের
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারজানা হাসানাত ভুক্তভোগীর জবানবন্দি
রেকর্ড করেছেন। এরআগে বুধবার (২৪ আগস্ট) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামুনের
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মামুন ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে
বিয়ের কথা বলে সে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে রাখে
মামুন। এরপর ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে মামুন।
বিষয়টি প্রকাশ করলে ওই তরুণীকে হত্যা ও ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দেয় সে। সম্প্রতি ওই
তরুণীর শরীরের গঠন দেখে তার পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তরুণী তার মাকে জানায়।
পরে পরীক্ষা করে ওই তরুণী অন্তঃস্বত্তা বলে জানা যায়।
মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা ও মধুপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার
মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের
কথা স্বীকার করেছে। তার মোবাইলটিও জব্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার
জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আদালত পরিদর্শক
তানভীর আহমেদ বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব রহমান আসামি মামুনকে কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।