ভোজ্যতেল (সয়াবিন
তেল) আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার
করা হবে বলেও জানান তিনি। সোমবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বিশ্বভোক্তা অধিকার
দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্য
মন্ত্রী বলেন, আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সেটা যদি হয় তাহলে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে তেল আমদানি করা হয়। সেখান থেকে ১০
শতাংশ কমানো হলে ভ্যাট ৫ শতাংশ হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা
হচ্ছে এবং ভোক্তা পর্যায়েও ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে
তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের
দাম কমবে কিনা এটা একমাত্র ব্রাজিল বলতে পারবে, কারণ ৯০ শতাংশ তেল আমরা সেখান থেকে
আমদানি করি। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভালো হলে অনেক পণ্যের দাম কমে যাবে। এই পরিস্থিতিতে
বেশি পণ্য না কিনে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা উচিৎ।
টিপু মুনশি বলেন,
আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য মজুদ আছে। সেটা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে। এখন দামটা
কেমন হবে সেটি কথা হতে পারে। কেউ কেউ মজুত করে রাখছে, সেটি বড় সমস্যা। টিসিবিও এক কোটি
পরিবারকে পণ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। তবে ঢাকায় টিসিবির পণ্য বিতরণে কিছুটা
সমস্যা হচ্ছে। একারণে সরকার স্থানীয় পর্যায়ে আইডি কার্ড, শহরাঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
এসময় বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম.
সফিকুজ্জামানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।