Logo
শিরোনাম

ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভ্রমণ করতে ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। দেশ থেকে বিদেশে ঘুরে বেড়ানো, পৃথিবীর নিখুঁত বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য অবলোকন করতে সবাই চায়। একঘেয়েমি জীবন থেকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে ভ্রমণ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তবে ভ্রমণে যাওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি সেটা হলো প্রস্তুতি। ভ্রমণ তখনই আনন্দের হবে, যখন আপনার প্রস্তুতি থাকবে সুন্দর ও গোছানো। প্রতিটি কাজের পেছনেই সঠিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার কমপক্ষে দুদিন আগে প্রস্তুতি নিয়ে নিবেন। দূরে কোথাও ভ্রমণের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ আগে প্রস্তুতি নিতে পারেন। শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি ভ্রমণের জন্য জরুরি। ভ্রমণে যাওয়ার আগে যেসব প্রস্তুতি নিতে হবে সেসব তুলে ধরা হলো।

যেভাবে ব্যাগ গুছাবেন: কোথায় যাচ্ছেন এবং কতদিন থাকবেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার ব্যাগে কী কী নেবেন। তবে ব্যাগের ওজন সমসময় চেষ্টা করবেন হালকা রাখার। একটা ভারী ব্যাগ আপনার ভ্রমণ আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। ভ্রমণের আগে ব্যাগ গোছানোর সময় মন দিয়ে দেখুন কী কী জিনিসপত্র আপনার লাগবে। মনে রাখবেন ছোট ছোট অনেকগুলো ব্যাগ না নিয়ে চেষ্টা করবেন একটি ব্যাগেই সব নিতে। এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রগুলো হারানোর ঝুঁকি অনেক কম থাকে।

ভ্রমণে যেসব পোশাক নিবেন: আপনার ভ্রমণের লোকেশন কোথায় সেটার ওপর নির্ভর করবে আপনার পোশাক বাছাই করা। কারণ যে স্থানে ভ্রমণ করার জন্য যাবেন সেখানকার আবহাওয়া কেমন সেটাও জানতে হবে। আবহাওয়া অনুযায়ী সঠিক পোশাক নির্বাচন করা খুব জরুরি। এতে আপনার ভ্রমণ হবে আরামদায়ক। শীতের সময় ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাপনিরোধক কাপড়ের তৈরি জামা পরিধান করতে হবে। ভ্রমণে জামার রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উজ্জ্বল রঙের পোশাকে ছবি সুন্দর হয়। উজ্জ্বল রঙে মনও ফুরফুরে থাকে। এ ছাড়াও রাতে ঘুমানোর পোশাক, মোজা, মাফলার ইত্যাদি লাগেজের একপাশে রাখবেন। রাতের জন্য হালকা ও আরামদায়ক পোশাক নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার আবহাওয়া অনুযায়ী হলে বেশ ভালো। মোজা, মাফলার ইত্যাদি যে কদিন থাকবেন সেই হিসাবে নেবেন।

যেসব জিনিস নিতে ভুলবেন না: ব্রাশ, পেস্ট, শ্যাম্পু, চিরুনি, ক্রিম/লোশন, লিপজেল, সানগ্লাস, ছোট আয়না, স্কার্ফ, চিরুনি, লাইট, ক্যাপ/হ্যাট, রুমাল, ওয়েট টিস্যু ইত্যাদি জিনিস একটা আলাদা ছোট ব্যাগে নিয়ে নিন। পুরুষরা যারা নিয়মিত সেভ করেন তারা রেজর-ফোম, এসব নিতে ভুলবেন না। নারীরা মেকআপ কিট বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস এ ব্যাগেই নিতে পারেন। আপনার স্যান্ডেল-জুতাও পলিথিন বা কাগজে মুড়িয়ে লাগেজের একপাশে রাখতে পারেন। আপনার ভ্রমণ যদি দেশের ভেতর হয় তাহলে অবশ্যই ব্যাগে একটা ছাতা রাখবেন। তাই ব্যাগে ছাতা রাখাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

বেড়াতে গিয়ে স্মৃতি ধরে রাখতে কে না চায়? তাই ক্যামেরা সঙ্গে রাখতে পারেন। তা ছাড়া মোবাইলেও আজকাল ভালো ছবি ওঠে। তাই মোবাইলের স্পেস খালি রাখবেন ভ্রমণে যাওয়ার আগে। সে ক্ষেত্রে চার্জার, মেমোরি কার্ড, ব্যাটারি ব্যাগে ঢুকাতে ভুলবেন না। আর মোবাইল চার্জারের পাশাপাশি একটি পাওয়ার ব্যাংকও সঙ্গে রাখুন। ল্যাপটপ নিলে অবশ্যই মনে করে তার চার্জারটি ব্যাগে রাখতে ভুল করবেন না। সবচেয়ে ভালো হয়, সব চার্জার এবং গ্যাজেট একটা ব্যাগে রাখলে। তাহলে প্রয়োজনের সময় সহজে খুঁজে পাবেন। বেশ কয়েকজন মিলে বন্ধুরা যখন ভ্রমণে যাই দেশে হোক আর বিদেশেই হোক সবাই মিলে মোবাইল, ক্যামেরা চার্জ দিতে গেলে বিপাকে পড়তে হয়। যথেষ্ট সংখ্যক চার্জিং পয়েন্ট না থাকায় এ সমস্যায় অনেকেই পড়েন। এজন্য একটা ছোট মাল্টিপ্লাগ সঙ্গে থ্রি-পিন থেকে টু-পিন কনভার্টার ব্যাগে রাখা ভালো। সেইসঙ্গে হালকা শুকনো খাবার, পানি ও আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়াও যে কোনো ধরনের ঘটনা কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে অবশ্যই নিজের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড রাখুন।

ভ্রমণের হিসাব-নিকাশ: টাকা-পয়সা ছাড়া তো ভ্রমণের কথা চিন্তাই করা যায় না। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ভ্রমণের হিসাব-নিকাশ করে ফেলা ভালো। কত টাকা খরচ করবেন সে অনুযায়ী বাজেট পরিকল্পনা করতে হবে। যে দেশ বা স্থানে যাবেন সে অনুযায়ী কিছু পরিমাণ নগদ টাকা অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। সেখানে এটিএম কার্ডের ব্যবহার আছে কিনা কিংবা বুথ পাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে আগেই জেনে নিন। এ ছাড়া বিকাশ কিংবা মোবাইলে লেনদেন করা যায় এমন কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে ভ্রমণে কাজে আসবে। অবশ্যই মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালান্স রাখবেন।

ভ্রমণসঙ্গী যদি শিশু হয়: আপনার ভ্রমণসঙ্গী হিসাবে আপনার শিশুড়-সন্তান থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তার খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ভ্রমণ অনুষঙ্গ গুছিয়ে নিতে হবে সবার আগে। কারণ বেড়াতে গিয়ে শিশুর যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে বেড়াতে যাওয়াটাও তখন নিরানন্দের হয়ে যায়। তাই আপনার ছোট্ট ভ্রমণসঙ্গীর জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা।

ক্লান্তি দূর করতে যা করবেন: ভ্রমণে যাওয়ার আগে অনেক সময় বাস-ট্রেন কিংবা প্লেনের জার্নি বোরিং লাগে। অনেকেই এ সময়টুকু উপভোগ করতে পারেন না। এ সময়টুকু উপভোগ করতে আপনি সঙ্গে দু-একটা বই নিন। অবশ্যই সেটা আপনার প্রিয় লেখক এবং পছন্দের বই হলে ভালো হয়। প্লেন, বাস বা ট্রেনে বসে পড়তে পারবেন। এ ছাড়া আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন তাহলে খাতা-কলম নিতে পারেন সঙ্গে। হঠাৎ কোনো জরুরি তথ্য পেলে নোট করা যাবে তাতে। তা ছাড়া বলা তো যায় না, কোনো সুন্দর স্থান দেখে আপনার ভেতর কবিতাও চলে আসতে পারে। ভ্রমণে যাবার আগে অবশ্যই আপনার পছন্দসই গান নিয়ে নেবেন। গানে গানে পথ চললে ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হবে।

যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন: যানবাহন থেকে নামার সময় কোনো মালপত্র ফেলে গেলেন কি না সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নামার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না। মানি ব্যাগ, ক্রেডিট কার্ড সাবধানে রাখবেন। সব টাকা মানিব্যাগে না রেখে কিছু টাকা অন্য কোনো জায়গা কিংবা আপনার ভ্রমণসঙ্গীর কাছে রাখবেন। একটি কার্ডে আপনার ঠিকানা লিখে রাখবেন। ব্যাগ হারিয়ে গেলে কেউ পেয়ে থাকলে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। খোলামেলা অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়া যাবে না। পরিমিত খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সন্ধ্যার পর অথবা বেশি রাত পর্যন্ত হোটেলের বাইরে অবস্থান করবেন না। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করতে গেলে। অবশ্যই শিশুদের দিকে লক্ষ্য রাখুন। ভ্রমণের সময় অপরিচিত লোকদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।

নিউজ ট্যাগ: ভ্রমণ

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর