পানি পান করা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কিন্তু এমন কিছু সময় আছে, যখন পানি পান করলেই হতে পারে মারাত্মক বিপদ!
জীবনধারণের জন্য পানি পান করতেই হয়। পানি
শুধু পিপাসা মেটায় না, পানি শরীরকে সক্রিয় ও সুস্থও রাখে। তবে শরীর বেশিক্ষণ পানি সংরক্ষণ
করে রাখতে পারে না। ফলে কিডনি, অন্ত্র, ত্বক ও ফুসফুসের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রতিদিন
আড়াই লিটার পানি বেরিয়ে যায়। শরীরে পানির অভাবে সাধারণত মাথাব্যথা, মনোযোগে ব্যাঘাত,
মাথাঘোরা, শুষ্ক ত্বক, ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি হয়ে থাকে।
শীত হোক বা গরম হোক- পানি পানের প্রবণতা
অনেকেরই বেশি থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিশুদ্ধ ও পরিমিত পানি পানে অনেক
রোগের উপকার পাওয়া যায়। তাই বলে, যখন তখন পানি পান করা যাবে না। এমন ৩টি সময় আছে, যখন
পানি পান করলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কখন মোটেও পানি পান
করা যাবে না।
শরীর চর্চার পরে:
শরীর চর্চার সময় প্রচুর ঘাম হয়। ফলে শরীরে
পানির চাহিদা বেড়ে যায়। তখন ঢকঢক করে অনেকেই পানি পান করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
এর ফলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে। তাই কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে তার পরই পানি পান করা উচিত।
ঘুমের আগে:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকেই পানি পান করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মোটেও ঠিক অভ্যাস না। এতে কিডনির ওপর চাপ পড়ে। তা ছাড়া প্রস্রাবের
চাপে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তাতে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়।
ঝাল খাওয়ার পরে:
খাবার খাওয়ার সময়ে ঝাল লাগলে অনেকেই পানি পান করতে থাকেন। বিশেষ করে শিশুদের ঝাল লাগলে তো তাদের পানি খাইয়ে দেওয়াই হয়। কিন্তু এটি ঠিক কাজ নয়। খাবারের যে উপাদানের কারণে ঝাল লেগেছে, সেটির ফলে গোটা পেটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হজমের সমস্যা হয়। অন্ত্রের অন্য সমস্যাও হতে পারে। তাই ঝাল ধীরে ধীরে মুখেই সইয়ে নেওয়া ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।