Logo
শিরোনাম

ভুয়া কাবিননামা তৈরি, কনেসহ কারাগারে ৬ জন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে যৌতুক, নারী নির্যাতন ও মোটা অঙ্কের মোহরানার দাবিতে সেই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে জেল খাটানোর পর তা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় কথিত কনেসহ তার ৫ সহযোগীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। বুধবার (২২ জুন) বিকেলে ওই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেওয়ার পর কথিত কনেসহ ৬ জনকে সন্ধ্যায় জেল হাজাতে পাঠানো হয়।

কথিত কনেসহ অভিযুক্ত ৬ জন হলেন- দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত রুবেল শেখের মেয়ে রিনী আক্তার (২৮), একই গ্রামের উত্তর পাড়ার এবারত আলীর ছেলে ইসরাইল শেখ (ইছা), একই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের  মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে আবু স্ঈাদ, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের  হায়দার আলীর ছেলে সোহেল রানা, একই উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে পারভেজ আলী ও বগুড়া সদর উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলী সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানায়, রিনী আক্তার ব্যবসার সুবাদে প্রায় বগুড়া জেলা শহরে যাতায়াত করতেন। রিনী তার মোটরসাইকেলের রেজিষ্ট্রেশনের প্রয়োজনে বগুড়া সদর ডাক অফিসের সরকারি কর্মকর্তা আলআমিনের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে রীনি জানতে পারেন আলআমিন মোটা বেতনের একজন সরকারি চাকরিজীবি। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে প্রথমে তার ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করতে আলআমিনকে প্রলুব্ধ করেন।

আলআমিন এতে রাজী না হলে রিনী আক্তার তার সহযোগীদেরকে স্বাক্ষী করে জয়পুরহাট জেলা শহরের পাটারপাড়া এলাকার মৃত কাজী নূরল ইসলামকে বিয়ের কাজী দেখিয়ে বিয়ের ভুয়া রেজিষ্ট্রি ও ৫ লাখ টাকার দেনমোহরের কাবিননামা তৈরি করেন। পরে ২০২১ সালের ২২ আগষ্ট রিনী দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। একই বছর ১৯ অক্টোবর সেই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত আলআমিনকে দিনাজপুরের জেল হাজাতে নেওয়া হয় ও গত ৩১ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

এদিকে সেই ভুয়া কাবিন নামা চ্যালেঞ্জ করে আলআমিন গত বছর ৯ আগষ্ট জয়পুরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রিনীসহ তার সহযোগীদের (কাবিন নামার স্বাক্ষী) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে আদালত তদন্তের জন্য জেলা সাব রেজিষ্টারের কাছে নির্দেশ দিলে সদর সাব রেজিষ্টার দোস্ত মোহাম্মদ গত বছর ১১ অক্টোবর আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। ওই তদন্ত রিপোর্টে রিনী ও আল আমিনের বিয়ের কাবিননামা ভুয়া প্রমানিত হয়।

বুধবার (২২ জুন) বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মানিক হোসেন ও আসামীগনের পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট এস এম আশফাকুল আলম রাজুর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে ভুয়া তথ্য দিয়ে আল আমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় রিনীসহ তার ৬ সহযোগীকে জেল হাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।

আসামিগণের পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট এস এম আশফাকুল আলম রাজু বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপীল করবেন।জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতীফ খান জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের সন্ধ্যায় জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।

 


আরও খবর