ভারতের উত্তর-পশ্চিমে ব্যাপক তাপপ্রবাহ চলছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনার কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত দুদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে দিল্লি ও আশপাশের এলাকায়। স্থানীয় সময় রবিবারের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
দিল্লির তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। দিল্লির বেস স্টেশন সফদরজং অবজারভেটরির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শুক্রবার ছিল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দিল্লির অন্য অংশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, নাজফগড়ে
শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জাফরপুর এবং মুঙ্গেশপুরের
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪৫.৬ এবং ৪৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিতামপুরায় তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রির মতো বেশি।
দিল্লিতে এটি পঞ্চম তাপপ্রবাহ। চলতি বছরের মার্চ থেকেই তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে রাজধানী দিল্লি। মার্চে একটি তাপপ্রবাহের পরে এপ্রিলে তিনটি তাপপ্রবাহ হয় সেখানে। আর এবার মে মাসে একটি তাপপ্রবাহ চলছে। সাধারণভাবে যদি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হয় এবং স্বাভাবিকের থেকে তা ৪.৫ ডিগ্রি বেশি থাকে, তাহলে সেখানে তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৫১ সালের পর থেকে এবছর দ্বিতীয় উষ্ণতম এপ্রিল। যেখানে মাসিক গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিলের শেষে হওয়া তাপপ্রবাহে দিল্লির বিভিন্ন অংশের তাপমাত্রা ৪৬ ও ৪৭ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। যেখানে দিল্লিতে এপ্রিলের গড় বৃষ্টিপাত ১২.২ মিলি, সেখানে এবার বৃষ্টি হয়েছে ০.৩ মিলি। আর মার্চে যেথানে ১৫.৯ মিলি, সেখানে এবার বৃষ্টিই হয়নি।