ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)
তাকসিম আহমেদ খানের বেতন-ভাতার হিসাব দাখিল করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ আদেশ দেন আপিল
বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। ফলে তাকসিমকে বেতন-ভাতার হিসাব জমা
দিতেই হবে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে
তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-ভাতা ও টিএডিএসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে,
সে তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট। প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে
ওই সব তথ্য আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা
করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে
চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ বা ক্যাবের
পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন
করেন তাকসিম এ খান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন
নো অর্ডার দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে।
বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন
তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন তিনি। প্রথম নিয়োগের পর থেকে
ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা পান।
ঢাকায় অনেক এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি
পানের অনুপযুক্ত হলেও তাকসিম দাবি করেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি সুপেয় এবং তিনিও সেটি
না ফুটিয়েই পান করেন। এরপর সমাজকর্মীরা তাকে জুরাইন এলাকায় সরবরাহ করা ওয়াসার পানির
শরবত খাওয়াতে আসেন ওয়াসা ভবনে, কিন্তু তিনি সেদিন দেখা দেননি।
পরে ঢাকা ওয়াসার এমডি পানির দাম বৃদ্ধি
করার প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। এরই মধ্যে তাকসিম নিজের বেতন বাড়ানোর কথা বলেন বোর্ডকে।
ওয়াসার কোনো আয় না থাকলেও নিজের এবং কর্মীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবে সমালোচিত
হন দীর্ঘ সময় ধরে এমডি পদে থাকা এ ব্যক্তি।