Logo
শিরোনাম

যে তিন উপায়ে শেষ হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেকে বলেছিলেন, আট মাস পর ইউক্রেন রাশিয়াকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে অন্তত ৮০ হাজার রুশ সৈন্য নিহত বা আহত হবেন। এমনকি, কৃষ্ণ সাগরে নোঙর করা রুশ যুদ্ধ জাহাজগুলো ধ্বংস হয়ে সমুদ্রের তলদেশে চলে যাবে ও ইউক্রেনের আকাশে তাদের বিমানগুলো স্বাধীনভাবে উড়তে থাকবে।

সেসময় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বাঘা বাঘা সদস্য নিরাপত্তা ও যুদ্ধ বিশ্লেকদের এমন অনুমান উপহাস করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, যুদ্ধের এখন যে পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে, ইউক্রেন ওইসব তাচ্ছিল্যের জবাবটা ভালোভাবেই দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সহযোগিতায় ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশটি যুদ্ধক্ষেত্রে এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে যে, পুতিন প্রশাসনের জন্য যুদ্ধে জয়লাভ করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে শীত যতই ঘনীভূত হচ্ছে, রাশিয়াও যেন ততটাই প্রচ্ছন্ন ও সক্রিয় হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে কীভাবে এ যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে, সে সম্পর্কে তিনটি ধারণা দিয়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রথমত এমন হতে পারে- শীতের সুযোগ নিয়ে নিজেদের ফ্রন্ট লাইনগুলোকে আরও স্থিতিশীল ও নতুন করে সেনাসদস্য সংগ্রহ করবে রাশিয়া। এরপরে সর্বশক্তি দিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনবে রাশিয়া।

এক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হতে পারে, যুদ্ধ যদি চলতেই থাকে, তাহলে সামনের বছরের শুরু থেকে মাঝামাঝির আগেই ইউক্রেনের জন্য ইউরোপের সব বরাদ্দ শেষ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নতুন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে, কারণ বাইডেন প্রশাসন এককভাবে যুদ্ধের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ভাঙতে চাইবে না। এমনটি হলে রাশিয়ার জন্য জয়লাভ করাটা খুব সহজ হয়ে যাবে। আবার বসন্তের শুরুতে রুশ সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটগুলো ইউক্রেনে তীব্র আক্রমণ শুরু করবে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রুশ অধিকৃত জায়গাগুলো সরে যেতে বাধ্য হবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। এ সুযোগে কিইভের ওপর পুরোপুরি কর্তৃত্ব বিস্তার করতে সৈন্যসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন অস্ত্রের উৎপাদনও বাড়াবে রাশিয়া। একপর্যায়ে খেরসনের প্রধান শিল্প শহর ক্রিভি রিহ, দোনেতস্কের স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামতোর্স্ক দখল করে নেবে পুতিন বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আহ্বান জানাবে। তখন জেলেনস্কির কাছে ইউরোপীয়দের আহ্বানে সাড়া দেওয়া না ছাড়া, আর কোনো উপায় থাকবে না।

দ্বিতীয় দৃশ্যকল্প হতে পারে, অচলাবস্থা। রাশিয়া কয়েক হাজার যুবককে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কার্যকর যোদ্ধায় পরিণত করতে পারেনি। তাছাড়া অধিকাংশ চৌকশ রুশ সামরিক প্রশিক্ষক ও অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা যুদ্ধক্ষেত্রে নিযুক্ত রয়েছেন। এমতাবস্থায় সাঁজোয়া যানের অভাবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণ সেনারা হালকা-পদাতিক ইউনিটে পরিণত হয়েছেন। তাদের দিয়ে হয়তো কোনো সামরিক ব্যারাকে সৈন্যের অভাব পূরণ ও পরিখা খনন করা সম্ভব হবে, কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধে তারা উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না। এ বছরের নভেম্বরে খেরসন থেকে ঘোষণা দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল যে, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রেখেই পিছু হটতে বাধ্য হন রুশ সেনারা।

অনেকে বলছেন, যুদ্ধে জয়ী হতে না পেরে পুতিন প্রশাসন ইউক্রেনের অর্থনীতিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তাছাড়া বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনীয় নাগরিক ও সেনাদের মনোবল নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরও খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না ক্রেমলিন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ও এর মিত্রদের দুর্বল করে তুলতে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত বা স্থিতিবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। অনেকের দাবি, পুতিন এ যুদ্ধ ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিয়ে যাবেন।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ডোলান্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউজে ফিরবেন ও ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে দেবেন- এমন আশায় পুতিন এ যুদ্ধ ২০২৪ সাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবেন। তৃতীয় দৃশ্যকল্পটি একই সঙ্গে সবচেয়ে উৎসাহজনক ও বিপজ্জনক। সেটি হলো, বসন্তে জেলেনস্কি তার সেনাবাহিনীকে জাপোরিঝিয়ায় একটি নতুন ফ্রন্ট খোলার নির্দেশ দেবেন। গ্রীষ্ম নাগাদ ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাঁচটি ব্রিগেড পুরো মারিওপোল ঘিরে ফেলবে ও রুশ সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করবে।

এদিকে, ইউক্রেন তার হিমার্স রকেট লঞ্চারগুলোকে দক্ষিণাঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার বন্দর, ঘাঁটি ও ডিপো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এমনকি, উপদ্বীপে প্রবেশেরও হুমকি দিয়েছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে পুতিনের জন্য দুটি পথ খোলা থাকবে। হয় যুদ্ধ বন্ধ করা, না হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা। কিন্তু বৈশ্বিক চাপের কথা মাথায় রেখে পুতিন প্রশাসন পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে না। সুতরাং, ঝুঁকি সত্ত্বেও ইউক্রেন জয়ী হবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর