Logo
শিরোনাম

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিলেন স্বামী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে স্বামী মো. সোহাগ (২২)-কে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোহাগ সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের সফিক উল্লাহর ছেলে। তিনি কমলনগর থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে কমলনগর উপজেলার একটি গ্রামের ওই মেয়ের সঙ্গে সোহাগের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এতে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য সোহাগ স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেন। এর মধ্যেই বিয়ের দুই মাস অতিবাহিত হয়। বেড়ানোর কথা বলে তিনি স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যান। পরে অচেতন করে ড্রামে ভরে চোরাই পথে স্ত্রীকে কলকাতার কাছাকাছি নিয়ে অবস্থানরত বোন সাহিদার কাছে রেখে আসেন।

গত ১০ অক্টোবর ভুক্তভোগীর ভাই কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশের চাপে এক সপ্তাহ আগে স্ত্রীকে অচেতন করে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। পরে স্বাভাবিক হয়ে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে গিয়ে জানান, তাকে কলকাতার পতিতালয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, যৌতুকের বাকি টাকা দেবে বললে লোভে পড়ে সোহাগ বুধবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে আসে। সেখানে তাকে আটকে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ভুক্তভোগী রিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভারতে সহিদা নামে একজনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সোহাগের বোন। সেখানে ৩ মাস আমাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কথা না শুনলেই শারিরীকভাবে নির্যাতন করত।

কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর