Logo
শিরোনাম

যুবসমাজ আমাদের বড় শক্তি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যুবসমাজ আমাদের বড় একটা শক্তি। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধদের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা সেটা হতে চাই না। কাজেই আমাদের এ যুবসমাজই পারবে বাংলাদেশটাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম-আয়ের দেশ করার কথা বলেছি। আজ আমরা উন্নয়শীল দেশের মর্যদা পেয়েছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশন হয়েছে। এটা যেন আর পিছিয়ে না যায়।

তিনি বলেন, এটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকে আমাদের তরুণ সমাজই হবে সেই ৪১-এর কারিগর। তারা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রত্যেক মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায়, আমরা সে পথে এগিয়ে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল দেশের যুবসমাজকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা। তখনকার যুগে কেউ কম্পিউটার শিখত না, কম্পিউটার ছিলই না। দু-চারটা অফিসে হয়তো ডেস্কটপ সাজানো থাকত, কিন্তু কেউ ব্যবহার করত না।

তিনি বলেন, আমিই উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে, প্রথমেই প্রযুক্তি শিক্ষা দিতে হবে। কারণ, সে সময় আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে মাত্র সাত শতাংশ ছেলেমেয়ে সম্পৃক্ত ছিল। যে কারণে আমি ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিই। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিই।

যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ক্যাটাগরিতে অনন্য অবদান রাখায় শরীয়তপুরের মাসুম আলম এবং নেত্রকোণার কামরুন নাহার লিপিকে দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড।

শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি বিভাগে অ্যাওয়ার্ড পান জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ ধ্রুব এবং পেন ফাউন্ডেশনের মেঘনা খাতুন।

দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাঙ্গামাটির এন কে এম মুন্না তালুকদার এবং লক্ষ্মীপুরের রাজু আহমেদ এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।

জ্যেষ্ঠদের প্রতি আদর্শ সেবা বা সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য বরিশালের মিল্টন সমাদ্দার এবং সুনামগঞ্জের কাস্মিরুল হককেও দেওয়া হয় সম্মাননা।

ক্রীড়া, কলা (চারু ও কারু) ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শেরপুরের মেয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং রাজশাহীর মোস্তফা সরকারও পেয়েছেন এই স্বীকৃতি।

বিজয়ীদের প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকা ও সম্মাননা স্মারক। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।


আরও খবর