মানবতাবিরোধী
অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাতক্ষীরা
সদর আসনের সাবেক এমপি আবদুল খালেক মণ্ডল খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। রোববার (২৪ এপ্রিল)
আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন আপিলের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৪
মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি আবদুল
খালেক মণ্ডলসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৮ সালের
৫ মার্চ আবদুল খালেক মণ্ডলসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-১। অভিযোগ গঠনকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন আটক করে নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের
ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এর মধ্যে রয়েছে ৬ জনকে হত্যা,
২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতন। পরে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া ছয়টি
অভিযোগ গঠন হয়।
২০১৮ সালের
১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ
বিচারপ্রক্রিয়ায় মঙ্গলবার (২২ মার্চ) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
শেষ হয়। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়।
মামলার অভিযোগে
বলা হয়েছে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করে এর নেতৃত্ব
দেন খালেক মণ্ডল। এরপর অন্য আসামিদের নিয়ে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর মহকুমা এলাকায় এসব
মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন।
২০১৫ সালের
১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় খালেক মণ্ডলকে
গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় হওয়া মানবতাবিরোধী
অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শিমুলবাড়িয়া
গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে
মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ
আনা হলেও প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে ছয়টি অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।