Logo
শিরোনাম

৫২ ঘণ্টা পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ ভিসি মুক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

৫২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. ফরহাদ হোসেন শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তাকে নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করান।

জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির ২২ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় অবরুদ্ধ করা হয়। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করেন।

এ বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য ২২ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে দুই দফায় ১৫টি পদের অনুমোদন পাওয়া গেছে। ওই ১৫ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এ সময় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তারা ১৫ পদের বিপরীতে ২২ জনকে নিয়োগ দিতে দাবি তোলেন। তারা কোনো লিখিত পরীক্ষা ছাড়া শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিও করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। কিন্তু তারা তাদের দাবিতে অনড়।

এ দিকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। তারা দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মিছিল উপাচার্যের কার্যালয়ে আসার পর সেখানে অবস্থান ধর্মঘটে থাকা কর্মচারীরা চলে যান। শিক্ষার্থীরা তালা খুলে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা উপাচার্যকে বাইরে আসার অনুরোধ জানান। ওই সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাইরে না এলেও পরে দুপুরে ছাত্রদের গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন।

মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী নেতৃত্বদানকারী মাহমুদুল হাসান দুলাল বলেন, অযৌক্তিক কিছু দাবি আদায়ের জন্য তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা উপাচার্য স্যারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

পরে নামাজ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি গর্বিত, আমি এমন কিছু সন্তান পেয়েছি, যারা সত্য, ন্যায় এবং বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। তোমাদের মতো সন্তানরা থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এ দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায় তারা থাকলে দেশ জাতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই এগিয়ে যাবে।

তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের কর্মবিরতি এখনো অব্যাহত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

তিনি জানান, উপাচার্য কার্যালয়ের বাইরে বের হতে আমরা কোন বাধার সৃষ্টি করিনি। অবস্থান ধর্মঘট শুরুর পরেই ভিসি স্যারকে আমরা জানিয়েছিলাম সকালে হাঁটা বা বিশেষ কোনো প্রয়োজন হলে তিনি কার্যালয়ের বাইরে বের হতে পারবেন। কিন্তু স্যার নিজ থেকেই বের হননি।


আরও খবর